গ্রামবাসীদেরও সমর্থন হারাল কৃষকরা, আন্দোলনস্থল খালি করার দাবিতে সরব স্থানীয়রা
গ্রামের লোকেরা বলেন, "কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে থাকলেও লালকেল্লায় জাতীয় পতাকার অপমানের ঘটনায় তাঁরা ব্যথিত। আন্দোলনকারী কৃষকরা যাতে সীমান্ত খালি করে চলে যায়, সেটাই চান তাঁরা।"
নয়া দিল্লি: প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে হিংসা ও লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তের পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দারাও। এতদিন কৃষকদের পাশে থাকলেও দুদিন আগের ঘটনার পরই তাঁরা কৃষকদের সীমান্ত ফাঁকা করে দিতে বলেছেন। আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে যাতে সংঘর্ষ না বাঁধে, সেই কারণে নামানো হয়েছে প্যারা মিলিটারি বাহিনীও।
দীর্ঘ দুই মাস ধরে দিল্লির তিন সীমান্তে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা। সিংঘু সীমান্তের পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাস্তা জুড়ে কৃষকরা তাঁবু খাটিয়ে বসে থাকায় এমনিতেই চূড়ান্ত হয়রানির সম্মুখীন হতে হচ্ছিল। বিদ্যুৎ ও পানীয় জল পরিষেবায় প্রভাব পড়ছে, হাইওয়েতে ব্যারিকেড থাকার কারণে স্বাধীনভাবে চলাফেরাও করা সম্ভব হচ্ছে না। বুধবার সকালে প্রায় ১৫টি গ্রামের বাসিন্দারা একটি পঞ্চায়েত বৈঠকের আয়োজন করেন এবং সেখানেই তাঁরা আন্দোলনকারীদের সীমান্তে ছেড়ে চলে যেতে বলেন। দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হলে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে মাঠে নামতে হয়।
Heavy Police presence seen at Singhu border (Delhi-Haryana border) as they attempt to barricade a portion of the road in order to restrict the protesters from coming to one side of the road from the other side. The protesters are opposing the barricading being done by Police. pic.twitter.com/d3Yjx7snXk
— ANI (@ANI) January 28, 2021
আরও পড়ুন: এলআইসি-সহ আরও ৩ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা থাকতে পারে বাজেটে!
গ্রামের লোকেরা বলেন, “কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে থাকলেও লালকেল্লায় জাতীয় পতাকার অপমানের ঘটনায় তাঁরা ব্যথিত। আন্দোলনকারী কৃষকরা যাতে সীমান্ত খালি করে চলে যায়, সেটাই চান তাঁরা। রাষ্ট্রের হিতকামনার সঙ্গে কোনও সমঝোতা হতে পারে না।” ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক বলেন, “রেওয়ারি থেকে কয়েকজন পঞ্জায়েত প্রধান এসে কৃষকদের বিরুদ্ধে জাতীয় সড়ক আটকে রাখার অভিযোগ জানান। দুই পক্ষের সঙ্গেই এই বিষয়ে কথা বলা হয় এবং প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারা চাইলে এনএইচ-৭১ ব্যবহার করতে পারেন।”
অন্যদিকে, গাজিপুর সীমান্ত ছেড়েও আন্দোলনকারী কৃষকদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে গাজিয়াবাদ প্রশাসন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আজ রাতের মধ্যে রাস্তা ফাঁকা করে দিতে হবে। মথুরা ও ফতেপুরের মতো ছোট আন্দোলনস্থল থেকেও আন্দোলনকারী কৃষকদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে।
আরও পড়ুন: যদি দেশের সকল কৃষক কৃষি আইন বুঝতেন, তবে দেশজুড়ে আগুন জ্বলত: রাহুল গান্ধী