Criminal cases: ৩০৭ সাংসদ ও ১৭০০-র বেশি বিধায়কের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছে: রিপোর্ট

Criminal cases: লোকসভা ও রাজ্যসভা- উভয় কক্ষেরই একাধিক সাংসদের বিরুদ্ধে অসংখ্য ফৌজদারি মামলা রয়েছে। সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে বকেয়া মোট মামলার সংখ্যা ৫০৯৭টি। যার মধ্যে ৪০ শতাংশেরও বেশি মামলা পাঁচ বছরের পুরানো।

Criminal cases: ৩০৭ সাংসদ ও ১৭০০-র বেশি বিধায়কের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছে: রিপোর্ট
সংসদের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে ঝুলছে ফৌজদারি মামলা।Image Credit source: টিভি৯ বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 26, 2023 | 6:08 PM

নয়া দিল্লি: ফৌজদারি মানহানির মামলায় সম্প্রতি সাংসদ পদ খুইয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কিন্তু, কেবল রাহুল গান্ধী নন, দেশের একাধিক সাংসদের বিরুদ্ধে অসংখ্য ফৌজদারি মামলা (Criminal case) রয়েছে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত আদালত-বান্ধব, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রাইটস (ADR)-এর তরফে সংসদে পেশ করা একটি রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। লোকসভা ও রাজ্যসভা- উভয় কক্ষেরই একাধিক সাংসদের বিরুদ্ধে অসংখ্য ফৌজদারি মামলা রয়েছে। যা দেখলে স্বাভাবিকভাবেই চোখ কপালে উঠবে।

অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রাইটস-এর পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত লোকসভার ৪৪ শতাংশ এবং রাজ্যসভার ৩১ শতাংশ সাংসদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এছাড়া সারা দেশের বিধানসভার ৪৩ শতাংশ সদস্যের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। রিপোর্টে আরও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, লোকসভার ৫৪২ জন সদস্যের মধ্যে ২৩৬ জন এবং রাজ্যসভার ২২৬ জন সদস্যের মধ্যে ৭১ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এছাড়া দেশের ৩,৯৯১ জন বিধায়কের মধ্যে ১,৭২৩ সদস্যের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে।

অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রাইটস-এর রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, লোকসভা, রাজ্যসভা ও সারা দেশের বিধানসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে ঝুলে থাকা মামলার শুনানি দ্রুত শেষ করার জন্য ২০২৬ সালে মামলা শুরু হয়। সেই মামলা এখনও চলছে। সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে বকেয়া মামলার সংখ্যা ৫০৯৭টি। যার মধ্যে ৪০ শতাংশেরও বেশি মামলা পাঁচ বছরের পুরানো।

যদিও এই মামলাগুলির দ্রুত শুনানির দাবি জানিয়েছে ADR। শুনানি না হলে অভিযুক্তদের জামিন বাতিলেরও সুপারিশ জানিয়েছে আদালত বান্ধব। এছাড়া জেরার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও বলা হয়েছে। সরকার এব্যাপারে সহযোগিতা না করলে মুখ্যসচিবকে গোটা বিষয়টি জানিয়ে রিপোর্ট করার কথাও বলা হয়েছে। গোটা বিষয়টির উপর নজরদারি করা হচ্ছে এবং জনস্বার্থের কথা ভেবে এই বিষয়টি ফেলে রাখা উচিত নয় বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।