IPL Betting Scam: আইপিএলে বেটিংয়ে ১ কোটি খুইয়েও বহাল তবিয়তে পোস্ট মাস্টার, নিঃস্ব হলেন ২৪ জন!

IPL Betting Scam: জেরায় তিনি জানান, বিগত দুই বছরে তিনি প্রায় ১ কোটি টাকারও বেশি খুইয়েছেন। তবে একটি টাকাও নিজের নয়। তিনি যে পোস্ট অফিসে কর্মরত, সেখানে যাঁদের অ্যাকাউন্ট ছিল, তাঁদের টাকা আত্মসাৎ করেই তিনি বেটিং করছিলেন। 

IPL Betting Scam: আইপিএলে বেটিংয়ে ১ কোটি খুইয়েও বহাল তবিয়তে পোস্ট মাস্টার, নিঃস্ব হলেন ২৪ জন!
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 26, 2022 | 6:39 AM

ভোপাল: আইপিএল শুধু ক্রিকেট ভক্তদের মনোরঞ্জনের জন্যই নয়। বিভিন্ন ম্যাচে টাকা লাগিয়ে রাতারাতি বড়লোক হয়ে গিয়েছেন অনেকে। এই প্রলোভনের ফাঁদেই পা দিয়েই সর্বস্ব খুইয়েছেন অনেকে। সেই কারণেই নিজের নয়, অন্যদের টাকা ব্যবহার করেই আইপিএলে বেটিং শুরু করেছিলেন সাব-পোস্ট মাস্টার। ভেবেছিলেন, টাকা জিতলে সবার অজান্তেই ফের ওই অ্যাকাউন্টে টাকা রেখে দেবেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় হল না, বেটিংয়েই ১ কোটি টাকা খুইয়ে বসলেন সাব-পোস্ট মাস্টার। ঘটনাটি ঘটেছে, মধ্য প্রদেশের সাগর জেলায়। প্রায় ২৪ জনের টাকা আত্মসাৎ করে নিঃস্ব হয়ে গেছেন ওই সাব-পোস্টমাস্টার। ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরায় নিজের অপরাধও স্বীকার করে নিয়েছেন ওই ব্যক্তি।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, মধ্য প্রদেশের সাগর জেলার বীণা সাব-পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার বিশাল আহিরওয়ারকে বেটিংয়ের অভিযোগে গত ২০ মে গ্রেফতার করে জিআরপি। পরে পুলিশ রিমান্ডে পাঠানো হলে, সেখানে জেরায় তিনি জানান, বিগত দুই বছরে তিনি প্রায় ১ কোটি টাকারও বেশি খুইয়েছেন। তবে একটি টাকাও নিজের নয়। তিনি যে পোস্ট অফিসে কর্মরত, সেখানে যাঁদের অ্যাকাউন্ট ছিল, তাঁদের টাকা আত্মসাৎ করেই তিনি বেটিং করছিলেন।  প্রায় দুই ডজন পরিবারের টাকা আত্মসাৎ করেছেন ওই ব্যক্তি।

জানা গিয়েছে, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তিনি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অ্যাকাউন্টের প্রমাণ দেখাতে তিনি সত্যিকারের পাসবুকও তৈরি করেছিলেন। বিগত দুই বছরে ওই ২৪ জনের অ্যাকাউন্টে যা টাকা জমা পড়েছিল, তার গোটাটাই তিনি আইপিএলের বেটিংয়ে লাগিয়ে দিতেন।

অভিযুক্ত ওই সাব-পোস্ট মাস্টারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা (প্রতারণা) ও ৪০৮ ধারায় (বিশ্বাসভঙ্গ) অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু করা হয়েছে, পরে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরও ধারা যোগ করা হতে পারে।  ইতিমধ্যেই ওই সাব-পোস্ট মাস্টারকে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে কাজ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যাঁরা নিজেদের টাকা খুইয়েছেন, তাঁরাও পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন।