আয়ুষ্মান যোজনায় করোনা রোগীর চিকিৎসায় অস্বীকার, রোগী মৃত্যুতে হাসপাতালকে নোটিস কর্তৃপক্ষের
গত ৭ মে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ঘোষণা করেন যে আয়ুষ্মান যোজনার অন্তর্গত ব্যক্তিরা কার্ড দেখালেই বিনামূল্যে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা করাতে পারবেন।
ভোপাল: প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস ছিল আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে কোনও মানুষই ন্যূনতম চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হবেন না। কিন্তু করোনা কালে মধ্য প্রদেশের চিরায়ু হাসপাতালে এই প্রকল্পের সুবিধা দিতে অস্বীকার করায় এক করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়। এরপরই হাসপাতালকে নোটিস ধরাল আয়ুষ্মান ভারত কর্তৃপক্ষ। যদিও হাসপাতালের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ১৯ এপ্রিল চিরায়ু হাসপাতালে ভর্তি হন রুক্মীনী বলওয়ানি নামক এক মহিলা। তাঁর ছেলের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের ঘোষণার পরই তিনি হাসপাতালে আয়ুষ্মান প্রকল্পের সুবিধা নিতে চান বলে জানাতেই কর্মীরা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। ভিডিয়ো বার্তায় তিনি জানান, হাসপাতালের প্রধান ডঃ অজয় গোয়েঙ্কাও সরাসরি এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে না বলে জানান।
গত ৭ মে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ঘোষণা করেন যে আয়ুষ্মান যোজনার অন্তর্গত ব্যক্তিরা কার্ড দেখালেই বিনামূল্যে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা করাতে পারবেন। এই প্রকল্পের অধীনে সিটি স্ক্যান থেকে শুরু করে রেমডেসিভির ও অক্সিজেনও বিনামূল্যে পাওয়া যাবে।
এ দিকে, হাসপাতালের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে হাতিয়ার করেই জানানো হয় যে, সরকারি নির্দেশ গত ৭ মে জারি হয়েছে। কিন্তু ওই করোনা রোগী গত ১৯ এপ্রিল থেকে ভর্তি ছিলেন। সরকারি ঘোষণার পর বহু রোগীকেই বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়েছে।
তবে মধ্য প্রদেশের আয়ুষ্মান ভারত ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, রাজ্য সরকারের তরফে গত বছরের ২৪ মার্চ জানানো হয়েছিল যে এই প্রকল্পের অধীনে থাকা করোনা রোগীরাও বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন। চিয়ারু হাসপাতালের নামও এই তালিকায় ছিল।
শো-কজ নোটিসে বলা হয়েছে, “ঘটনা সম্পর্তিত যাবতীয় তথ্য, রেকর্ড আগামী তিন দিনের মধ্যে জমা করতে হবে। একইসঙ্গে যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যাও দিতে হবে। যদি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নোটিসের জবাব না দেয়, তবে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”
আরও পড়ুন: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেহাল চিকিৎসক মহল, সংক্রমণে একদিনেই মৃত্যু ৫০ চিকিৎসকের