Child: হাসপাতালেই স্ত্রীর সঙ্গে বচসা, তুলে আছাড় মারলেন ২ দিনের সন্তানকে
Nagpur: শনিবার সন্ধ্যায় বছর ৩২-র ওই যুবক তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় হঠাৎ তাঁদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। হঠাৎ ওই যুবক তাঁর স্ত্রীর পাশে রাখা কট থেকে নিজের ছেলেকে তুলে মাটিতে আছাড় মারেন।
নাগপুর: দুইদিন আগে বাবা হয়েছেন। হাসপাতালে দেখা করতে এসেছিলেন স্ত্রী ও নবজাতকের সঙ্গে। কিন্তু সেখানেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালেন ব্যক্তি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্ত্রীর সঙ্গে সামান্য বচসা শুরু হতেই পাশের কটে শুয়ে থাকা নবজাতককে তুলে আছাড় মারলেন। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নাগপুর (Nagpur) জেলায়। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে বচসার পরই অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁর নবজাতক সন্তানকে তুলে আছাড় মারেন। বর্তমানে শিশুটি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার নাগপুরের অমরাবতী সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে। শনিবার সন্ধ্যায় বছর ৩২-র ওই যুবক তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় হঠাৎ তাঁদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। হঠাৎ ওই যুবক তাঁর স্ত্রীর পাশে রাখা কট থেকে নিজের ছেলেকে তুলে মাটিতে আছাড় মারেন। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে ওঠেন স্ত্রী। চিৎকার শুনে হাসপাতালের নার্সরা ছুটে আসেন এবং ওই ব্যক্তিকে চেপে ধরেন। এরপরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, শিশুটিকে বর্তমানে অমরাবতী মেডিক্যাল কলেজেরই ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি রাখা হয়েছে। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। নবজাতকের মা জানিয়েছেন, অমরাবতীর ওই ব্যক্তির সঙ্গে ২০২০ সালে যুবতীর বিয়ে হয়। এরপর থেকেই ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করতেন। গত ৩০ ডিসেম্বর যুবতী পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। শনিবার ওই ব্যক্তি স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে তাদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এরপরই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটান ব্যক্তি। পরে নার্সরা এসে ওই ব্যক্তিকে চেপে ধরে আটকে রাখেন। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।