Murder Case: মনে ছিল অন্য নারী, তাই বিয়ের ৫ মাসের মধ্যেই স্ত্রীকে খুন যুবকের

Pune Murder: স্বপ্নীল সাওয়ান্ত নামক ওই যুবকের সঙ্গে পাঁচ মাস আগেই বিয়ে হয় প্রিয়ঙ্কা ক্ষেত্রীর। তারা একটি বাড়িতে ভাড়া নিয়ে থাকতেন। এদিকে যে বেসরকারি হাসপাতালে স্বপ্নীল কাজ করে, সেখানেও এক নার্সের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর।

Murder Case: মনে ছিল অন্য নারী, তাই বিয়ের ৫ মাসের মধ্যেই স্ত্রীকে খুন যুবকের
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 24, 2022 | 10:43 AM

পুণে: মাত্র পাঁচ মাসেই বিয়ে হয়েছিল। বাইরে থেকে দেখে সুখের সংসার বলেই মনে হত। কিন্তু হঠাৎই ছন্দ কাটল। একদিন তড়িঘড়ি স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলেন স্বামী। তখন অবস্থা মরো-মরো। চিকিৎসকেরা আপ্রাণ চেষ্টা করলেও বাঁচানো যায়নি বছর ২০-র প্রিয়ঙ্কাকে। বাকিদের চোখে মৃত্যুর কারণ স্বাভাবিক মনে হলেও, মানতে চাননি মৃতার পরিবার। তারা পুলিশে গার্হস্থ্য হিংসা ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে আসল একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেল, আত্মহত্যা নয়, স্বামীই খুন করেছে প্রিয়ঙ্কাকে। চিকিৎসকদের চোখে ধুলো দিতে হাসপাতাল থেকে চুরি করা ওষুধই ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে স্ত্রীকে দিয়েছিলেন।

ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পুণেতে। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ২৩ বছরের এক যুবককে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক একটি হাসপাতালে নার্সের কাজ করে। সেই কারণে বিভিন্ন ওষুধ সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে তাঁর। স্ত্রীকে খুনের জন্যও ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পনা করেছিল সে। ওষুধ দিয়ে খুন করে সেটাকে আত্মহত্যা বলে প্রমাণ করতে চেয়েছিল অভিযুক্ত যুবক।

জানা গিয়েছে, স্বপ্নীল সাওয়ান্ত নামক ওই যুবকের সঙ্গে পাঁচ মাস আগেই বিয়ে হয় প্রিয়ঙ্কা ক্ষেত্রীর। তারা একটি বাড়িতে ভাড়া নিয়ে থাকতেন। এদিকে যে বেসরকারি হাসপাতালে স্বপ্নীল কাজ করে, সেখানেও এক নার্সের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। সম্প্রতিই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। কিন্তু পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় প্রিয়ঙ্কা। যদিও স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা কিছুই জানতেন না প্রিয়ঙ্কা।

১৪ নভেম্বর স্বপ্নীল প্রিয়ঙ্কাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নিয়ে যান। সেখানে কিছুক্ষণ পরেই তাঁর মৃত্যু হয়। বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড লেটার উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে, তদন্তে নেমে পুলিশ স্বপ্নীলের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা ও আত্নহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করে।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, চুপিসাড়ে স্বপ্নীল হাসপাতাল থেকে ভেকিউরোনিয়াম ব্রোমাইড, নাইট্রোগ্লিসারিন ইঞ্জেকশন সহ একাধিক ওষুধ চুরি করেছিল। ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ওই ওষুধ প্রিয়ঙ্কার শরীরে দিয়েই তাঁকে খুন করে স্বপ্নীল। পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই স্বপ্নীলকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।