১৪২ বছর জেলের সাজা, নাবালিকাকে ২ বছর ধরে ধর্ষণের শাস্তি দিল আদালত

২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল অবধি ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। ২০২১ সালের ২০ মার্চ আনন্দনের বিরুদ্ধে নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়।

১৪২ বছর জেলের সাজা, নাবালিকাকে ২ বছর ধরে ধর্ষণের শাস্তি দিল আদালত
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 01, 2022 | 6:36 PM

তিরুঅনন্তপুরম: ১০ বছরের নাবালিকাকে বছরের পর বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ৪১ বছরের এক ব্য়ক্তির বিরুদ্ধে। কেরলের পথনামথিত্তায় ঘটেছিল সেই ঘটনায ওই ধর্ষণ মামলার সম্প্রতি সাজা ঘোষণা করেছে আদালত। ওই ধর্ষণ মামলায় দোষী ব্যক্তির ১৪২ বছর সাজা ঘোষণা করেছে পকসো আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। এই জরিমান অনাদায়ে আরও তিন বছরের জেল খাটতে হতে পারে তাকে।

নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আনন্দন। ১০ বছরের এক নাবালিকাকে প্রায় ২ বছর ধরে সে ধর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ। ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল অবধি ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। ২০২১ সালের ২০ মার্চ আনন্দনের বিরুদ্ধে নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। জানা গিয়েছে, সাজা প্রাপ্ত আনন্দন ওই নির্যাতিতা নাবালিকার আত্মীয় ছিলেন.। সেই সূত্রে প্রায়শই নির্যাতিতার বাড়িতে যাতায়াত ছিল তার। সেই সুযোগরেই নাবালিকার উপর বছরের পর বছর অত্যাচার চালিয়েছিল বলে অভিযোগ।

এ নিয়ে সে জেলার এক পুলিশ আধিকারিক বলেছেন, “অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যে সব তথ্য়প্রমাণ মিলেছিল, তা ভিত্তিতে আদালসত সাজা ঘোষণা করেছে। পুলিশ আদালতে ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিয়েছিল। পকসো আইনের অধীনে ওই ব্যক্তির ১৪২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”

যদিও ১৪২ বছরের সাজা খাতায় কলমে হলেও বাস্তবে তা সম্ভব নয়। কোনও ব্যক্তি অত বছর বাঁচতে পারেন না। সব মিলিয়ে ওই ব্যক্তিকে ৬০ বছর জেলে থাকতে হবে। অর্থাৎ বাকি জীবন জেলেই কাটবে ধর্ষণের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির।