Manipur Violence Highlight: ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’, ঘর-বাড়ি ছেড়ে অসমে আশ্রয় হাজারেরও বেশি মণিপুরীর
Manipur Violence Highlight: মণিপুর হিংসার তিনদিন পেরিয়ে গিয়েছে। এখন ঘর-বাড়ি ছাড়া বহু। এই সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছে সেনা। হিংসার ঘটনায় মোট ৫৪ জন মারা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ইম্ফল: বুধবার রাত থেকেই মণিপুরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়েছে হিংসা। অশান্তির জেরে রাজ্য জুড়ে মোতায়েন রয়েছে সেনা, আধা সেনা, অসম রাইফেলসের বাহিনী। মেইতেই জনগোষ্ঠীর তফসিলি উপজাতিভুক্ত হওয়ার দাবিকে কেন্দ্র করেই উত্তর-পূর্ব রাজ্যে শুরু হয়েছে অশান্তি। গত ১৪ এপ্রিল মণিপুর হাইকোর্ট মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতিভুক্ত করার বিষয়ে রাজ্য সরকারকে পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দেন। তারপর থেকেই মেইতেই জনগোষ্ঠী ও অন্যান্য আদিবাসীদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বজায় ছিল। গত বুধবার রাতে মেইতেই জনগোষ্ঠীর এই দাবির বিরোধিতা করে মিছিল বের করে ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’। সেই মিছিলে হামলা চালায় মেইতেই সম্প্রদায়ের সদস্যরা। সেই ঘটনা থেকেই বিক্ষোভের আগুন মণিপুরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। মুখ্য়মন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গে কথা বলে গোটা পরিস্থিতির খোঁজ নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, তিনদিন পর মণিপুরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এসেছে। মণিপুরের এই খবরের গুরুত্বপূর্ণ আপডেট দেখুন এখানে-
- এদিকে মণিপুরের জিরিবাম জেলা এবং আশেপাশের এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই ১,১০০ জনের বেশি সাধারণ মানুষ আন্তঃরাজ্য সীমানা পেরিয়ে অসমের চাচার জেলায় গিয়েছে। এই পরিযায়ীরা বেশিরভাগই কুকি সম্প্রদায়ের বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা ভয় পাচ্ছেন, হামলাকারী জনগোষ্ঠী মণিপুরে তাঁদের বাড়ি-ঘর ধ্বংস করে দিয়েছে।
- রাজ্য জুড়ে ভারতীয় সেনা ও অসম রাইফেলসের প্রায় ১০ হাজার জওয়ান রাজ্য জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে।
- এক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র জানিয়েছেন, চূড়াচাঁদপুর, মোরেহ, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলাকে সেনাবাহিনী তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে। মোট ১৩ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
- শুক্রবার রাতে চূড়াচাঁদপুর জেলায় এনকাউন্টারে পাঁচ সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে। এনকাউন্টারে জখম হয়েছেন দুই জওয়ানও। এদিকে তরবুংয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। এই খণ্ডযুদ্ধে নিহত হয় এক সন্ত্রাসবাদী।
- আতঙ্ক কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে ইম্ফল উপত্যকা। সেখানে শনিবার দোকানপাট ও বাজার-হাট খুলেছে। গাড়ি চলাচলও শুরু হয়েছে। আরও সেনা, ব়্যাফ ও কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেনা জানিয়েছে, মণিপুরের সার্বিক পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
- মণিপুরে হিংসার ঘটনায় মৃতের সংখ্য়া বেড়ে হয়েছে ৫৪। চূড়াচাঁদপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে ১৬ জনের দেহ রাখা হয়েছে। ১৫ জনের দেহ রাখা হয়েছে পূর্ব ইম্ফল জেলার জওহরলাল নেহেরু ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে। আরও ২৩ জনের দেহ রয়েছে পশ্চিম ইম্ফল জেলার ল্যাম্ফেলের রিজিওন্যাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে।