Delhi: দীপাবলীর আগে রবিবাসরীয় বিকেলে রাজধানীতে থিকথিক করছে ভিড়
Massive Crowd in Delhi Markets: আজ দিল্লির লাজপত নগর এবং সদর বাজার এলাকায় যে দোকানগুলি রয়েছে, তার বাইরে ক্রেতাদের ভিড় ছিড় চোখে পড়ার মতো। কারও কারও মুখে মাস্ক রয়েছে বটে, কিন্তু বেশিরভাগেরই যেন মাস্কের তোয়াক্কা নেই।
নয়া দিল্লি : আগামিকাল থেকে রাজধানীতে সব শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুলের দরজা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দিল্লির করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। আর সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। কিন্তু স্কুল খোলার ঠিক আগেই রবিবাসরীয় বিকেলে যে ছবি রাজধানীর বুকে দেখা গিয়েছে, তা মনে আতঙ্ক ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
সামনেই দীপাবলী। আর তার আগে শেষ রবিবার ছিল আজই। ছুটির দিনে রাজধানীর রাজপথে আজ ছিল উপচে পড়া ভিড়। জনসমুদ্র বললে খুব একটা ভুল বলা হবে না। দীপাবলীর কেনাকাটিতে মগ্ন আমজনতা। গিজগিজ করছে মানুষের ভিড়। কোথায় কোভিড বিধি, কোথায় শারীরিক দূরত্ব… সব যেন কর্পূরের মতো উবে গিয়েছে নিমেষে। আর এই ছবি দেখেই আতঙ্কিত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকরা। এই ভিড় থেকে ফের সংক্রমণ লাগামছাড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
আজ দিল্লির লাজপত নগর এবং সদর বাজার এলাকায় যে দোকানগুলি রয়েছে, তার বাইরে ক্রেতাদের ভিড় ছিড় চোখে পড়ার মতো। কারও কারও মুখে মাস্ক রয়েছে বটে, কিন্তু বেশিরভাগেরই যেন মাস্কের তোয়াক্কা নেই। আর এই থিকথিক করা মানুষের ভিড়ে শারীরিক দূরত্বের কথা না বলাই ভাল।
এই তো মার্চ-এপ্রিল মাসেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। আর সেই সময় সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল রাজধানী দিল্লিতেই। চারিদিকে প্রাণবায়ুর জন্য হাহাকার। কোথাও কয়েক ঘণ্টার জন্য অক্সিজেন বাকি, কোথাও বা আরও কম সময়… আর এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই সেই বীভীষিকাময় সময়ের কথা বেমালুম ভুলে গেলেন দিল্লিবাসী। চিকিৎসকরা বার বার বলছেন, এই সময় একটু গাফিলতি মানেই আবার করোনার নতুন ঢেউ তৈরি হতে পারে। ফের লাগামছাড়া হতে পারে সংক্রমণ। কিন্তু সে সবের যেন তোয়াক্কাই করছেন না দিল্লির একটি বড় অংশের মানুষ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি লোকাল সার্কলস নামে এক অনলাইন পোলিং প্ল্যাটফর্ম এই সমীক্ষাটি চালিয়েছিল। সেই সমীক্ষার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, সমীক্ষায় যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাঁদের এলাকার লোকেরা ‘ভাল সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলছেন’, বাকি ৯৪ শতাংশের বেশিরভাগই জানিয়েছেন, তাঁদের এলাকায় সামাজিক দূরত্ববিধি সব শিকেয় উঠেছে। অথবা সামান্য কিছু মানুষের মধ্যে তা সীমিত হয়ে গিয়েছে।