কোভিড কালে ‘ত্রাতা’ জ্বালানির তেলই ! অর্থনীতির চাকা গড়াতেই কর কমানোর পথে হাঁটল মোদী সরকার
Inflation, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেল ব্যারেল প্রতি ৭০ ডলারের নিচে ফিরে আসবে এমনটাই মনে করছে সরকার ফলে আগমী দিনে জ্বালানির দাম কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে
নয়া দিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকার গতকালই পেট্রোল ডিজেলে ওপর কর কমিয়ে জ্বালানির দাম কমানোর কথা ঘোষণা করেছে। জ্বালানির তেলে মাছ ভেজে সরকার এখন সাধারণ মানুষের বোঝা কমাতে আগ্রহী। করোনার সময় অতিরিক্ত খরচ জোগাতে জ্বালানির দাম বাড়ানো ছাড়া আর অন্য কোনও উপায় ছিল না সরকারের। আপাত দৃষ্টিতে এই সিদ্ধান্ত অতি সাধারণ মনে হলেও এই সিদ্ধানে পিছনে অনেক অন্তর্নিহিত অর্থ লুকিয়ে রয়েছে। প্রথমটি অবশ্যই সরকারি রাজকোষের সঙ্গে সম্পর্কিত। জ্বালানির ওপর থেকেই এই আবগারি শুল্ক কমিয়ে নেওয়ার সরাসরি প্রভাব সরকারি রাজকোষে পড়বে। সরকারের আয় কমবে বলা বাহুল্য। করোনা মহামারির সময়ে ২০২০ এবং ২০২১ সালে সরকারের ওপর বাড়তি খরচের বোঝা চেপে ছিল। সেই খরচ সামাল দেওয়ার জন্যই জ্বালানির দামা বাড়ানো হয়েছিল।
তারপর থেকেই রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে পাশাপাশি তার থেকে কর আদায়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। পণ্য ও পরিষেবা ক্ষেত্রে সেই কর আদায়ের পরিমাণ আরও বেশি বলেই জানা গিয়েছে। খরচের পরিমাণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে জ্বালানি তেলে সরকার কোনও ছাড় দেয়নি। যদিও সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা ভেবে কর ছাড় দিলেই ভাল হত।
শুধুমাত্র ভারতেই নয় বিশ্বের বেশ কিছু জায়গায় সরবরাহের সীমাবদ্ধতার কারণে আর্থিক মন্দার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল এবং সেই কারণে সেইসব জায়গায় মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পেয়েছিল। ভারত ভাগ্যবান কারণ আমাদের দেশে মুদ্রাস্ফীতির মাত্রা বড় ধরনের বিচ্যুতির শিকার হয়নি। কিন্তু এটা না মেনে উপায় নেই জ্বালানির দাম বাড়লে তার প্রভাবে বেশ কিছু পণ্যের দাম বাড়ে। এর ফলে আর্থিক সংস্কারের পথে হাঁটলেও সরকারেও ওপর সেই মূল্যবৃদ্ধির দায় গিয়ে পড়ে। সরকার রফতানি করতে আগ্রহী থাকলেও কিন্তু সেক্ষেত্রে পরিবহন ও লজিস্টিক খরচও সেই রফতানির খরচ বাড়াবেই। এই কারণে জ্বালানির দামে নিয়ন্ত্রণ ও প্রয়োজন। এই জ্বালানির দাম কমার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমবে ফলে সাধারণ মানুষের বোঝা লাঘব হবে।
যেহেতু জ্বালানির দামে ছাড় দেওয়া হয়ে তাই গ্যাসের মত এই ক্ষেত্রে সরকারল ভর্তুকি দিচ্ছে না। বেশি পরিমাণ রাজস্ব আদায় এবং বেসরকারিকরণের কারণে সরকার যদি দ্রুত নিজেদের বাজেচ বরাদ্দের সমতুল্য অর্থ জোগাড় করতে সক্ষম হয় সেক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের গতি তরান্বিত হবে। তার ফলে আদতে দেশের সাধারণ মানুষই লাভবান হবে।
শেষ পর্যন্ত, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেল ব্যারেল প্রতি ৭০ ডলারের নিচে ফিরে আসবে এমনটাই মনে করছে সরকার ফলে আগমী দিনে জ্বালানির দাম কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই সম্ভবনা পরের বছরের মাঝামাঝি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন দুশ্চিন্তা কমবে ই-ভেহিকল মালিকদের, আগামী তিন বছরে ১০ হাজার ইভি চার্জিং স্টেশন তৈরি করবে আইওসিএল