এপ্রিল-মে মাসের মৃতরা কেউ টিকা নেননি, কাঁপুনি ধরালো কেন্দ্রের রিপোর্ট
COVID 19 Vaccine : করোনা টিকার প্রথম ডোজ় ভাইরাসের বিরুদ্ধে ৯৬.৬ শতাংশ কার্যকর।
নয়াদিল্লি : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামাল দিতে না দিতেই তৃতীয় ঢেউ নিয়ে শঙ্কা। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কেরল, মহারাষ্ট্র। তৃতীয় ঢেউয়ের থেকে বাঁচতে বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে টিকাকরণের উপর। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা টিকার প্রথম ডোজ় ভাইরাসের বিরুদ্ধে ৯৬.৬ শতাংশ কার্যকর। দ্বিতীয় ডোজ় নিলে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে ৯৭.৫ শতাংশে পৌঁছে যায়।
করোনায় মৃত্যু আটকাতে হলে টিকাকরণ ছাড়া আর কোনও গতি নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে যতজন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগেরই টিকাকরণ হয়নি। কেন্দ্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভি কে পালের কথায়, ভাইরাসের বিরুদ্ধে সবথেকে শক্তিশালী ঢাল হল টিকাকরণ।
বিগত সময়ে অনেকক্ষেত্রেই টিকা নিতে অনিহা দেখা গিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। আজ ভি কে পালের কথা সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে। তিনি জানান, ভারতে করোনা টিকা পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। আপনারা দয়া করে টিকা নিন। করোনা টিকার দু’টি ডোজ় নেওয়া হলে ভাইরাসের কারণে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়। কেন্দ্রের তরফে এও জানানো হয়, টিকাকরণ হয়ে গেলেও অনেকে করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে সংক্রমণ তেমন ভয়ঙ্কর আকার নেয় না। হাসপাতালে ভরতি করারও প্রয়োজন হয় না।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশে আছড়ে পড়ার পর সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল রাজধানী। অক্সিজেনের অভাব আরও প্রকট হয়েছিল। চারিদিকে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার তৈরি হয়েছিল। অক্সিজেন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেজরিওয়ালের কাতর আর্জি, কান্নায় ভেঙে পড়া, কোনও হাসপাতালে এক ঘণ্টা, তো আবার কোনও হাসপাতালে দুই ঘণ্টার অক্সিজেন বাকি, সেই ছবি আজও আবছা হয়ে যায়নি। সেই পরিস্থিতি থেকে এখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশ। আর এই ঘুরে দাঁড়ানোর পিছনে টিকাকরণ অনেকটা সাহায্য করেছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
তবে এর মধ্যেই আশঙ্কা তৈরি হয়ে গিয়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের। অক্টোবর মাসে আসতে পারে তৃতীয় ঢেউ। তার মধ্যেই চিন্তা তৈরি করছে আর ভ্যালু। ইনস্টিটিউট অফ ম্যাথেমেটিক্যাল সায়েন্সেস চেন্নাইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, অগস্টের শেষ সপ্তাহে বিশেষত ১৪ থেকে ১৭ অগস্টের মধ্যে আর ভ্যালু ০.৮৯ থেকে ১.১৭ এ উন্নীত হয়েছে।
এই প্রজনন সংখ্যা বা আর মান বোঝায় যে একটি সংক্রমণ কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। যখন একটি ঢেউ শীর্ষে থাকে, তখন এটা স্পষ্ট হয় যে ভাইরাসটি দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু যখন ঢেউ কমতে শুরু করে, তখন আর ভ্যালুর সামান্য বৃদ্ধি আবার ঢেউয়ের আসন্ন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নির্দেশ করতে পারে।
এই আর-এর মান যদি ১-এর চেয়ে বেশি হয়, তাহলে এর অর্থ হল প্রতিটি রাউন্ডে সংক্রামিত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এই অবস্থাকে মহামারী পর্যায় বলা হয়। অন্য কথায়, এটিকে বলে যে কীভাবে দক্ষতার সাথে একটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন : সঙ্কটজনক করোনা রোগীদের জন্য টসিলিজুমাবের জরুরিভিত্তিক অনুমোদন ডিসিজিআই-এর