আরও এক নয়া আশঙ্কা, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বাড়বাড়ন্তে বাজার থেকে উধাও ‘অ্যাম্ফোটেরিসিন বি’

করোনার (COVID 19) সেকেন্ড ওয়েভে দেখা দিয়েছে এক নতুন বিভীষিকা। রাজ্যে রাজ্যে বাড়ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে (Black Fungus) আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। ওষুধে পড়ল টান।

আরও এক নয়া আশঙ্কা, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বাড়বাড়ন্তে বাজার থেকে উধাও 'অ্যাম্ফোটেরিসিন বি'
দেশ জুড়ে বাড়ছে আক্রান্তের ঘটনা। প্রতীকি ছবি (পিটিআই)
Follow Us:
| Updated on: May 18, 2021 | 3:41 PM

নয়া দিল্লি: যদিও সংক্রমণের পরিসংখ্যান এখনও উর্ধ্বমুখী, উপসর্গও ক্রমশ জটিলতা বাড়াচ্ছে তবু করোনার সঙ্গে পরিচিতি অনেকটাই বেড়েছে সাধারণ মানুষের। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে (Second Wave) বেসামাল ভারতে আশঙ্কা বাড়িয়েছে নতুন রোগ, যার নাম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (Black Fungus)। সেই কৃষ্ণ ছত্রাকে মৃত্যুও হচ্ছে একাধিক রাজ্যে। আর রোগ যত বাড়ছে ততই টান পড়ছে ওষুধের ভাঁড়ারে। ওষুধের অভাবে ইতিমধ্যেই উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে রাজ্যগুলি।

মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত এই কৃষ্ণ ছত্রাকে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা প্রত্যেকেই করোনা থেকে সেরে উঠেছিলেন কিন্তু হার মানেন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কাছে। গোটা রাজ্যে ১৫০০ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে। পুনেতেও ২৭০ জন আক্রান্ত হয়েছেন এই রোগে। গুজরাটে ৪০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকেই এই রোগে দৃষ্টিশক্তি হারাচ্ছেন।

রাজ্যগুলিতে ইঞ্জেকশনে টান:

এই রোগের একমাত্র ওষুধ হল ‘অ্যাম্ফোটেরিসিন বি।’ আগে এই ওষুধের তেমন চাহিদা ছিল না। কিন্তু এখন অনেকেই কিনতে আসছেন এই ওষুধ। ফলে ওষুধের স্টোর থেকে ক্রমশ কমে যাচ্ছে এই অ্যাম্ফোটেরিসিন। উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, কর্ণাটকে একই ছবি দেখা যাচ্ছে। ওষুধের স্টক পর্যাপ্ত হতে আরও দিন ১৫ সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ওষুধের জোগান বাড়াতে টেন্ডার দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। আরও বেশি অ্যাম্ফোটেরিসিন ইঞ্জেকশন আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেই রাজ্যে।

ওষুধ বাড়াতে উদ্যোগী কেন্দ্র:

এই ওষুধ যাতে আরও বেশি পরিমাণে তৈরি করা হয়, তার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সার ও রসায়ণ মন্ত্রকের তরফে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভারত সেরাম অ্যান্ড ভ্যাকসিন, ওকহার্ড, অ্যাবট হেলথকেয়ার, উনাইটেড বায়োটেক ও সিপলা এই ওষুধ তৈরি করে।

আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন সঙ্কটের লাগাতার অভিযোগে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী

কী এই অ্যাম্ফোটেরিসিন বি?

এটি মূলত ফাঙ্গাল বা ছত্রাকজনিত ইনফেকশনের ওষুধ। এই ওষুধের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। জ্বর আসা, মাথা ব্যাথার মতো সমস্যা ছাড়াও এই ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় সমস্যা দেখা দিতে পারে কিডনিতে। বুকে ব্যাথা বা অ্যালার্জির উপসর্গও দেখা দিতে পারে। অধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ায় এই ওষুধ খুব বেশি অসুস্থ না হলে সাধারণত দেওয়া হয় না। কিন্তু ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ক্ষেত্রে এই ওষুধ কার্যকর বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: জন্মেছিলেন ৩ মিনিটের তফাতে, ২৪ ঘণ্টার ফারাকেই করোনা-যুদ্ধে হার মানলেন যমজ দুই ভাই