Sharad Pawar: ফের একমঞ্চে শরদ-অজিত, বিজেপির সঙ্গে জোট জল্পনা নিয়ে মুখ খুললেন এনসিপি প্রধান
NCP Chief: এদিন ফের ভাইপো তথা মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এবং বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা যায় শরদ পাওয়ারকে। যা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয় মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে।
মুম্বই: বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মঞ্চ ভাগ করলেও রাজনীতিতে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে কখনও নয়। রবিবার সোলাপুরে (Solapur) এক সরকারি অনুষ্ঠানে যোগদানের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই জানালেন NCP প্রধান শরদ পওয়ার। তাঁর কথায়, “বিজেপির সঙ্গে মেলামেশা এনসিপি-র রাজনৈতিক নীতির সঙ্গে কখনও মানানসই নয়।” তবে কিছু ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’ তাঁকে এবং তাঁর দলকে BJP-র সঙ্গে হাত মেলানোর চেষ্টা করছেন বলেও এদিন জানান এনসিপি প্রধান (Sharad Pawar)।
এদিন সোলাপুর জেলার সানগোলায় প্রয়াত বিধায়ক গণপাত্রাও দেশমুখের মূর্তি উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রবীণ রাজনীতিক শরদ পওয়ার। সেই অনুষ্ঠানে মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এবং বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা যায় শরদ পওয়ারকে। যা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয় মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে। দিন কয়েক আগে নিজের বাড়িতে ভাইপো অজিত পওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করতেও দেখা গিয়েছে শরদ পওয়ারকে। তার আগে মহারাষ্ট্র সরকারের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও এক মঞ্চে দেখা দিয়েছে তাঁকে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করে করমর্দন করতেও দেখা গিয়েছিল এনসিপি প্রধানকে। পরপর এই সমস্ত ঘটনায় শরদ পাওয়ারের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিলেন প্রবীণ রাজনীতিক।
বিজেপি নেতাদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করলেও একজোট কখনও হবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। তিনি স্পষ্টত জানান, দলের কিছু সদস্যের আলাদা অবস্থান হতে পারে। কিছু ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’ বিজেপির সঙ্গে জোট করানোর চেষ্টা করতে পারেন। কিন্তু,তাঁর দল কখনও বিজেপির হাত ধরবে না। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শরদ পওয়ার যে তাঁর ভাইপো অজিত পওয়ারের কথা বলছেন, তা বলা বাহুল্য। পাশাপাশি অজিত পওয়ারের সঙ্গে তাঁর বৈঠক নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক জল্পনাও এদিন খারিজ করে দেন শরদ পওয়ার। তাঁর কথায়, “তিনি (অজিত পওয়ার) আমার ভাইপো। ভাইপোর সঙ্গে আমার বৈঠক করার মধ্যে খারাপ কী রয়েছে? যদি পরিবারের কোনও প্রবীণ সদস্য পরিবারের আরেক সদস্যের সঙ্গে দেখা করতে চান, সেটা নিয়ে কোনও ইস্যু হওয়া উচিত নয়।”