রবিবার হচ্ছে না মেডিক্যালের স্নাতকোত্তর নিট পরীক্ষা, করোনা আবহে ঘোষণা হর্ষ বর্ধনের

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন টুইট করে জানিয়েছেন, নিট (NEET PG 2021) পরীক্ষা আপাতত বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা।

রবিবার হচ্ছে না মেডিক্যালের স্নাতকোত্তর নিট পরীক্ষা, করোনা আবহে ঘোষণা হর্ষ বর্ধনের
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 15, 2021 | 8:36 PM

নয়া দিল্লি: দেশজুড়ে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে করোনা (COVID) অতিমারি। ভেঙে পড়েছে একাধিক রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। এমতাবস্থায় সংক্রমণ যেন আরও দ্রুত না ছড়াতে পারে তাই মহারাষ্ট্র প্রশাসন দ্বাদশ ও দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করেছে। বারবার দাবি ওঠার পর সিবিএস দশম শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ বার আপাতত বাতিল হয়ে গেল স্নাতকোত্তর মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা অর্থাৎ নিট-পিজি ২০২১ (NEET PG 2021)।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন টুইট করে জানিয়েছেন, নিট পরীক্ষা আপাতত বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা। টুইটে তিনি লিখেছেন, “দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরিস্থিতিতে ভারত সরকার নিট-পিজি ২০২১ পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৮ এপ্রিল হওয়ার কথা ছিল এই পরীক্ষা। পরিবর্তিত সূচি পরে জানানো হবে। তরুণ মেডিক্যাল পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

সিবিএসই পরীক্ষা বাতিল হওয়ার পর নিট পরীক্ষা বাতিলের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিলেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, যে চিকিৎসকরা করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করেন, তাঁদের খাতায়-পেনে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করায় হাজারো মানুষকে বিপদে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সিবিএসই দশম শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল হওয়া ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে এনেও নিট বাতিলের সওয়াল করেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্ট এই আবেদন শুনবে আগামিকাল। তবে তার আগেই হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, এই পরীক্ষা বাতিলের কথা।

বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই টুইটারে ট্রেন্ডিংয়ে আসছিল #postponeneetpg। বৃহস্পতিবারই ডিএমকে প্রধান এমকে স্তালিন সওয়াল করেছিলেন, “যখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে এবং আমাদের চিকিৎসকরা সব বাধা কাটিয়ে ওঠার জন্য লড়ছেন, সেই পরিস্থিতিতে স্নাতকোত্তরের নিট পরীক্ষা হওয়া কি উচিত?” এর আগে স্নাতক স্তরে নিট পরীক্ষা নিয়েও পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেম। জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সর্বোচ্চ আদালত সম্পূর্ণ করোনাবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। তখন অবশ্য দেশে ৯০ হাজার দৈনিক করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যান ছিল। এখন দৈনিক সংক্রমণ ২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। সেই আবহে সিবিএসই পরীক্ষা বাতিলের আর্জি জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢ়রা-সহ অন্যান্যরা। প্রধানমন্ত্রী উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে সিবিএসই নিয়ে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বার হর্ষ এই নিট স্থগিত রাখার কথা জানালেন।

আরও পড়ুন:  করোনার বাড়বাড়ন্ত: মাসখানেকের জন্য বন্ধ স্মৃতিসৌধ এবং যাদুঘর