Solver Gang: মুন্নাভাই, সার্কিট-সবাই আছে! কীভাবে প্রশ্ন ফাঁসের কারবার ছড়িয়েছে ‘সলভার গ্যাং’ ?
NEET Paper Leak: বিভিন্ন সোশ্য়াল মিডিয়ার মাধ্যমেই কাজ করত সলভার গ্যাং। মোটা টাকা দিলেই সলভ করা অর্থাৎ সমস্ত উত্তর সহ প্রশ্নপত্র পাওয়া যেত। সেখান থেকেই নাম সলভার গ্যাংয়ের। অগ্রিম টাকা দিলেই পরীক্ষার আগেরদিন প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে যেত পরীক্ষার্থীরা।
নয়া দিল্লি: ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট নিয়ে চলছে জলঘোলা। পরীক্ষা হওয়ার আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি-জালিয়াতির এই ভূরি ভূরি অভিযোগের মাঝেই একটা নাম বারবার উঠে আসছে। তা হল সলভার গ্যাং। নিটের বেনিয়মে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ‘সলভার গ্যাং’ (Solver Gang)। কারা এই গ্য়াংয়ের সদস্য? কীভাবেই বা কাজ করে?
জানা গিয়েছে, কর্পোরেট কায়দায় চাকরির পরীক্ষায় কারচুপি করে এই কুখ্যাত গ্যাং। মূলত বিহারের হলেও, রাজ্য়ের গণ্ডি পেরিয়ে ঝাড়খণ্ড, উত্তর প্রদেশ এমনকী পশ্চিমবঙ্গেও জাল ছড়িয়েছে সলভার গ্যাং। এবং এই গ্যাং কিন্তু নতুন নয়। এর আগেও একাধিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে এই সলভার গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। একধিক সদস্য গ্রেফতারও হয়েছে। তারপরও দমেনি প্রশ্ন ফাঁসে পোড় খাওয়া এই গ্যাং।
বিভিন্ন সোশ্য়াল মিডিয়ার মাধ্যমেই কাজ করত সলভার গ্যাং। মোটা টাকা দিলেই সলভ করা অর্থাৎ সমস্ত উত্তর সহ প্রশ্নপত্র পাওয়া যেত। সেখান থেকেই নাম সলভার গ্যাংয়ের। অগ্রিম টাকা দিলেই পরীক্ষার আগেরদিন প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে যেত পরীক্ষার্থীরা।
এইটুকুই নয়, তারা পরীক্ষার্থীদের আরও একটি অপশন দিত। যারা বেশি টাকা দিতে পারত, তাদের জন্য থাকত একজন ‘মুন্নাভাই’। পরীক্ষার্থীদের জায়গায় তারা পরীক্ষা দিয়ে আসত। পরীক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করা হত, মুন্নাভাই ভাল র্যাঙ্ক এনে দেবে।
এক নজরে সলভার গ্যাংয়ের অতীতের কর্মকাণ্ড-
সেপ্টেম্বর, ২০২০ঃ উত্তর প্রদেশে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করত এই গ্যাং। তখন ৬ জনকে গ্রেফতার করে আলিগড় পুলিশ।
ডিসেম্বর, ২০২১ঃ অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে নয়ডা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় সলভার গ্যাংয়ের ৫ জন।
জুন, ২০২৩ঃ উত্তর প্রদেশের সাব অর্ডিনেট সার্ভিস পরীক্ষায় কারচুপির অভিযোগে সলভার গ্যাংয়ের ১০ জনের বেশি সদস্য গ্রেফতার হয়।
ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ঃ উত্তর প্রদেশের এসটিএফ (STF) সলভার গ্যাংয়ের ১২ জনকে গ্রেফতার করে।
জুন, ২০২৪ঃ নিট পরীক্ষার কেলেঙ্কারিতে জড়াল সলভার গ্যাংয়ের নাম।