দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে সন্ধে ৬টা থেকেই জারি নৈশ কার্ফু, একাধিক নয়া নির্দেশিকা রাজস্থানে

বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে সামাজিক অনুষ্ঠানেও। বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতের সংখ্যা ১০০ থেকে কমিয়ে ৫০ করে দেওয়া হয়েছে। শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে ২০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না বলেই জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে সন্ধে ৬টা থেকেই জারি নৈশ কার্ফু, একাধিক নয়া নির্দেশিকা রাজস্থানে
নৈশ কার্ফুতে বন্ধ জয়পুরের দোকানপাট। ছবি:PTI
Follow Us:
| Updated on: Apr 15, 2021 | 8:55 AM

জয়পুর: রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়তেই জারি করা হয়েছিল নৈশ কার্ফু। কিন্তু সেক্ষেত্রে খুব একটা ভাল ফল না মিলতেই আরও এক ধাপ কঠোর হল রাজস্থান সরকার। জেলা ভিত্তিক নৈশ কার্ফু বাতিল করে গোটা রাজ্যেই জারি করা হল নৈশ কার্ফু। রাত আটটার বদলে সন্ধে ছটা থেরেই শুরু হবে এই কার্ফু।

রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছয় হাজারের গণ্ডি পার করতেই বুধবার সমস্ত সরকারি আধিকারিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, ধর্মীয় সংগঠনগুলির প্রধান ও এনজিও সংস্থা গুলির সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। সেই বৈঠকেই করোনা সংক্রমণ রুখতে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত সপ্তাহে যেখানে রাজস্থানের শহরাঞ্চলগুলিতে রাত আটটা থেকে ভোর ছ’টা অবধি নৈশ কার্ফু জারি করা হয়েছিল, সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে একটি নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রাত আটটার বদলে এবার থেকে গোটা রাজ্যেই সন্ধে ছ’টা থেকে ভোর পাঁচটা অবধি নৈশ কার্ফু জারি থাকবে। বিকেল পাঁচটার মধ্যে সমস্ত অফিস, বাজার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ করে দিতে হবে। কেবল আইটি কোম্পানি, ওষুধের দোকান ও বাস-রেলওয়ে স্টেশন খোলা থাকবে।

একইসঙ্গে সামাজিক অনুষ্ঠানেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতের সংখ্যা ১০০ থেকে কমিয়ে ৫০ করে দেওয়া হয়েছে। শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে ২০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না বলেই জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। বাকি সমস্ত সামাজিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে সম্পূর্ণ নিষেধাঞ্জা জারি করা হয়েছে।

দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গতবার সাধারণ মানুষ অনেক বেশি সচেতন ছিল সেই কারণে সংক্রমণ রুখতে সমস্যা হয়নি। কিন্তু সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে কেউ নিয়ম মানতে চাইছেন না। সেই কারণেই সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

আরও পড়ুন: ভুয়ো খবরে ছয়লাপ সোশ্যাল মিডিয়া, রাশ টানতে কঠোর ভোপাল প্রশাসন