NIA Raid on D-Company Associate: ফের সক্রিয় ডি-কম্পানি? দাউদের সঙ্গীদের খোঁজে মুম্বইজুড়ে তল্লাশি অভিযান NIA-র

NIA Raid on D-Company Associate: মুম্বইয়ের কমপক্ষে ২০টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছে বলেই সূত্রের খবর। বান্দ্রা, নাগপাড়া, বোরিভালি, গোরেগাঁও, পারেল, সান্টাক্রুজ সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছে।

NIA Raid on D-Company Associate: ফের সক্রিয় ডি-কম্পানি? দাউদের সঙ্গীদের খোঁজে মুম্বইজুড়ে তল্লাশি অভিযান NIA-র
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 09, 2022 | 7:05 PM

মুম্বই: মুম্বইয়ে ফের সক্রিয় ডি-কম্পানি(D-Company)? পলাতক গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিম(Dawood Ibrahim)-র সঙ্গীদের খোঁজে বাণিজ্যনগরী জুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ(NIA)। মুম্বইয়ের কমপক্ষে ২০টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছে বলেই সূত্রের খবর। বান্দ্রা, নাগপাড়া, বোরিভালি, গোরেগাঁও, পারেল, সান্টাক্রুজ সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছে। যাদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে, তাদের মধ্যে মাদক পাচারকারী, হাওয়ালা, রিয়েল এস্টেট ম্যানেজার থেকে শুরু করে দাউদ ইব্রাহিমের একাধিক সঙ্গীরা রয়েছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা দাউদের গোষ্ঠী, যা ডি-কম্পানি নামে পরিচিত, তাদের একাধিক নেতা ও সংগঠকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। অভিযোগে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে অধিকাংশই বিদেশে থাকে। দেশে সংগঠিত অপরাধ ও অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনেও মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এক সময় মুম্বইয়ের ত্রাস তথা আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন দাউদ ইব্রাহিম বর্তমানে পাকিস্তানের করাচিতে লুকিয়ে রয়েছেন বলেই দাবি গোয়েন্দাদের। এনআইএ-র হাতেই দাউদের গোষ্ঠীর সদস্য়দের করা অপরাধ ও সন্ত্রাসের তদন্তভারও দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র দাউদ ইব্রাহিম ও তাঁর ডি-কম্পানিই নয়, পাশাপাশি ছোটা শাকিল, জাভেদ চিকনা, টাইগার মেনন, ইকবাল মির্চি, হাসিনা পার্কারের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, সম্প্রতি এই মামলার তদন্তেই ইডি মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিককেও গ্রেফতার করে।

৯০-র দশক থেকেই মুম্বইয়ের ত্রাস ছিলেন দাউদ ইব্রাহিম। ২০০৩ সালে ভারত ও আমেরিকার তরফে দাউদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে যে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল, সেই ঘটনার পিছনেও দাউদ ইব্রাহিমই জড়িত ছিলেন। পলাতক ডনের মাথার দাম ধার্য করা হয়েছে ২.৫ কোটি মার্কিন ডলার। সম্প্রতি পাকিস্তান সরকারের তরফেও দাউদ ইব্রাহিম সহ ৮৭ জনের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগে।