Odisha: সরকারি হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের ভিতরেই ধর্ষণ! আইসিইউতে ডাক্তার
Odisha: সরকারি হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন দুই মহিলা। শুক্রবার এসেছিলেন, চিকিৎসক বলেন রবিবার আসতে। আর ওই দিন হাসপাতালের ভিতরেই তাঁদের ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক আবাসিক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। রোগীর বাড়ির লোকজনের মারধরে আহত ওই চিকিৎসক আপাতত আইসিইউ-তে।
কটক: তিলোত্তমা হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগের বিচার চেয়ে গর্জে উঠেছে কলকাতা। সোমবার সকাল থেকে চলছে চিকিৎসকদের লাগাতর কর্মবিরতি। রোগীরা এসে ফিরে যাচ্ছেন। হাসপাতালের বাইরে ধর্নায় চিকিৎসকরা। এর মধ্যে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। কলকাতা যখন এই ঘটনা নিয়ে উত্তাল, তখন বাংলার ঠিক পাশের রাজ্য ওড়িশাতেও এক সরকারি হাসপাতালে দুই মহিলা রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১৩ অগস্ট) ওড়িশা পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ডাক্তারকে এদিন গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনাটি গত রবিবারের (১১ অগস্ট)। কটকের এসসিবি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এসেছিলেন দুই মহিলা। হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন তাঁরা। সেই সময়ই হাসপাতালের এক আবাসিক চিকিৎসক তাঁদের ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, ওই দুই মহিলা প্রথমে শুক্রবার এসেছিলেন হাসপাতালে। অভিযুক্ত চিকিৎসক তাঁদের রবিবার আসতে বলেছিলেন। কটকের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ, অনিল মিশ্র বলেছেন, “সোমবার দুই রোগীর পক্ষ থেকে মঙ্গলাবাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। এই বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।” ওই আবাসিক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ওড়িশার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ।
এদিকে অভিযুক্ত চিকিৎসককে ওই হাসপাতালেরই আইসিইউ-তেই ভর্তি করা হয়েছিল। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই তাকে ওই রোগীদের আত্মীয়রা উত্তম-মধ্যম দেয় বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা এই ঘটনা জানে। যদিও এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ এখনও তারা পায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ, অনিল মিশ্র বলেছেন, “যদি আমরা এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ পাই, আমরা তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। তবে সবার আগে আমরা নির্যাতিতাদের জবানবন্দি রেকর্ড করব এবং তদন্তের সময় সংগৃহীত প্রমাণের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করব।”
এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। তবে, এই ঘটনা নিয়ে চিকিত্সক সম্প্রদায় এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।