Nipah Virus: কেরলে আরও চওড়া নিপার থাবা, আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীও, ৭০০ জনের সংক্রমণের সম্ভাবনা

Nipah Virus in Kerala: প্রশাসনের তরফে কোঝিকোড়, যেখানে নিপা সংক্রমণ ছড়িয়েছে, সেখানে উৎসব-অনুষ্ঠানে জমায়েত করতে বারণ করা হয়েছে। কোঝিকোড়ের ৯টি পঞ্চায়েতের ৫৮টি ওয়ার্ডকে কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই এলাকা থেকে ঢোকা ও বেরোনো নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কেবলমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়েই গাড়ি চলাচল করতে পারবে।

Nipah Virus: কেরলে আরও চওড়া নিপার থাবা, আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীও, ৭০০ জনের সংক্রমণের সম্ভাবনা
কোঝিকোড়ে কন্টেনমেন্ট জ়োন। Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 14, 2023 | 7:18 AM

তিরুবনন্তপুরম: আতঙ্ক বাড়াচ্ছে নিপা ভাইরাস। কেরলে বাড়ল নিপা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবার এক স্বাস্থ্য়কর্মীও আক্রান্ত হলেন এই ভাইরাসে। জানা গিয়েছে, ২৪ বছরের ওই স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন। সেখান থেকেই তিনি সংক্রমিত হন। বুধবার তাঁর রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এই নিয়ে কেরলে নিপা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫-এ। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে একাধিক কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের তালিকাও। আর তা নিয়েই বেড়েছে উদ্বেগ। কারণ, সংস্পর্শে আসা ৭০০ জনের নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বুধবার কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানান, নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে যথাযথ পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং ও কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা হয়েছে। আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা ৭০০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭৭ জন হাই-রিস্ক ক্যাটেগরিতে রয়েছেন। অর্থাৎ এদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। হাই-রিস্ক ক্যাটেগরিতে যারা রয়েছেন, তাদের আপাতত ঘর-বন্দি থাকতে বলা হয়েছে। যে দুইজন নিপা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তাদের যাতায়াতের রুট প্রকাশ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে ওই রুট এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।

প্রশাসনের তরফে কোঝিকোড়, যেখানে নিপা সংক্রমণ ছড়িয়েছে, সেখানে উৎসব-অনুষ্ঠানে জমায়েত করতে বারণ করা হয়েছে। কোঝিকোড়ের ৯টি পঞ্চায়েতের ৫৮টি ওয়ার্ডকে কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই এলাকা থেকে ঢোকা ও বেরোনো নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কেবলমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়েই গাড়ি চলাচল করতে পারবে। বাস বা অন্যান্য গাড়িও এই এলাকাগুলিতে দাঁড়াতে পারবে না। সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা অবধি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান খোলা থাকবে। তবে ওষুধের দোকান ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে সময়বিধি থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৯ বছরের এক নাবালকও রয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত জটিল। বর্তমানে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য আইসিএমআরের কাছ থেতে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি আনানো হচ্ছে। অন্যদিকে, যে ৭০০ জন আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাদের মধ্যে ৭৬ জন হাই-রিস্ক ক্য়াটেগরিতে রয়েছেন। তবে সকলেই স্থিতিশীল রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

গতকালই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছিলেন যে এটি নিপা ভাইরাসের বাংলাদেশ ভ্যারিয়েন্ট। এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণের হার কম হলেও, মৃত্যুহার অনেক বেশি।