Covid-19 Vaccine: ১৯০ কোটি ডোজের মাইলফলক পার, সাফল্যের মধ্যেই ফের বাড়ছে করোনার ভ্রুকুটি

Covid-19 Vaccine: শনিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত সারা দেশে ১৯০ কোটিরও বেশি ডোজ কোভিড-১৯ ভ্য়াকসিন দেওয়া হয়েছে। এমনটাই জানালো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

Covid-19 Vaccine: ১৯০ কোটি ডোজের মাইলফলক পার, সাফল্যের মধ্যেই ফের বাড়ছে করোনার ভ্রুকুটি
ছবি - ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি শুরু করা হয়েছিল দেশব্যাপী কোভিড টিকাদান কর্মসূচি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 07, 2022 | 6:21 PM

নয়া দিল্লি: এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে সারা দেশে ১৯০ কোটিরও বেশি ডোজ কোভিড-১৯ ভ্য়াকসিন দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে এমনটাই জানালো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী কোভিড টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদেরই টিকা দেওয়া হয়েছিল। তারপর ধাপে ধাপে ফ্রন্টলাইন কর্মী, ষাটোর্ধ্ব এবং তারপর প্রাপ্তবয়স্ক সকলকেই টিকা দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরে দুই ধাপে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশু ও কিশোরদেরও কোভিড টিকা দেওয়া শুরু করা হয়েছে।

২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি প্রথমে ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাদান শুরু করা হয়েছিল। তারপর, ১৬ মার্চ থেকে ১২-১৪ বছর বয়স গোষ্ঠীর শিশুদেরও টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে ১০ এপ্রিল থেকে ভারতে কোভিড-১৯ টিকার সতর্কতামূলক ডোজ দেওয়া শুরু হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের যাদের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর নয় মাস কেটে গিয়েছে, তাদেরই সতর্কতামূলক ডোজ দেওয়া হচ্ছে। এদিন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ১২-১৪ বছর বয়সী ৩.০১ কোটিরও বেশি (৩,০১,৯৭,১২০) শিশুকে কোভিড-১৯ টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। আর ১৮-৫৯ বছর বয়সীদের জন্য ৯,৯৫,২৬৫ ডোজ সতর্কতামূলক টিকা দেওয়া হয়েছে।

ভারতে এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৯টি কোভিড টিকাকে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণ অভিযানের একেবারে শুরুতে শুধুমাত্র কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড টিকা দেওয়া হলেও, ধীরে ধীরে রাশিয়ায় তৈরি স্পুটনিক ভি, স্পুটনিক লাইট, জনসন অ্যান্ড জনসন, মডার্না, কর্বেভ্যাক্স, নোভাভ্যাক্স, জাইডাস ক্যাডিলার টিকাকে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শনিবারই স্পুটনিক লাইট টিকাকে সতর্কতামূলক ডোজ হিসাবে ব্যবহারের অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।

গত মার্চ মাস থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাস মহামারির চতুর্থ তরঙ্গ দেখা দিলেও, ভারতে এতদিন পর্যন্ত চতুর্থ তরঙ্গ আসার কোনও ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছিল না। তবে, গত এক সপ্তাহ ধরে ফের ভারতের কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। শুক্রবার ভারতে ৩,৮০৫ টি নতুন কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ভারতের মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪,৩০,৯৮,৭৪৩। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, দৈনিক ইতিবাচকতার হার ১.০৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আর সাপ্তাহিক ইতিবাচকতার হার রয়েছে ০.৭০ শতাংশে। গত ২৪ ঘন্টায় ৩,০০০-এরও বেশি মানুষ করোনা-মুক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশে কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৪,২৫,৫৪,৪১৬।

শুধু তাই নয়, গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে কোভিড-সম্পর্কিত মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। ফলে, ভারতে মোট করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫,২৪,০২৪। তবে, ভারতে করোনায় প্রকৃত মৃতের সংখ্যাটা ঠিক কত, তাই নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া হিসাবে গড়মিল থাকার অভিযোগ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। গাণিতিক মডেল ব্যবহার করে, হু দাবি করেছে, ২০২১ সালে ভারতে করোনায় যে পরিমাণ মৃত্যুর কথা রিপোর্ট করা হয়েছিল, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা তার অন্তত ১০ গুণ হওয়া উচিত। তবে, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রসংঘের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংস্থার এই দাবি, সরাসরি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, কেন্দ্রকে আক্রমণের এই সুযোগ ছাড়েনি বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী টুইট করে বলেছেন, ‘বিজ্ঞান মিথ্যা কথা বলে না, মোদী বলেন’।