Centre on paddy: সুষ্ঠভাবেই চলছে ধান সংগ্রহের কাজ, জানাল কেন্দ্র

Paddy Procurement: কেন্দ্র জানিয়ছে, ধান সংগ্রহের কাজ প্রত্যাশিতভাবে চলার কারণে ইতিমধ্যেই প্রায় ১৮ লক্ষেরও বেশি কৃষক লাভবান হয়েছেন।

Centre on paddy: সুষ্ঠভাবেই চলছে ধান সংগ্রহের কাজ, জানাল কেন্দ্র
ছবি- প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 03, 2021 | 1:45 PM

নয়া দিল্লি: খরিফ শস্যের মরসুমে সুখবর শোনাল কেন্দ্রীয় সরকার। তারা জানিয়েছে, এই মরসুমেও প্রত্যেক বছরের মত ধান সংগ্রহের কাজ দ্রুত গতিতে ও সুন্দরভাবে এগচ্ছে। কেন্দ্র জানিয়ছে, ধান সংগ্রহের কাজ প্রত্যাশিতভাবে চলার কারণে ইতিমধ্যেই প্রায় ১৮ লক্ষেরও বেশি কৃষক লাভবান হয়েছেন। এক বিবৃতিতে, কেন্দ্রীয় খাদ্য বণ্টন ও উপভোক্তা বিভাগ জানিয়েছে, ৩০ নভেম্বর অবধি দেশের ১৬ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে মোট ২৯০.৯৮ লক্ষ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক জানিয়েছে সব থেকে বেশি পরিমাণ ধান এসেছে পঞ্জব থেকে। এরপরের স্থানেই রয়েছে উত্তর প্রদেশ ও হরিয়ানা। অন্য রাজ্যগুলি থেকেও ধান সংগ্রহের কাজ যথেষ্ট দ্রুত গতিতে হচ্ছে।

কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরও এখনও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে অনড় কৃষক সংগঠনগুলি। সেই দাবি নিয়ে তাঁরা যখন সরকারে সঙ্গেল আলোচনায় বসতে চাইছে তখনই সরকারের তরফে এমন বিবৃতি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে। কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত একটি সংগঠন মঙ্গলবারই জানিয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিক সংগঠনের এক নেতা সঙ্গে দেখা করে পাঁচ জনের নামের তালিকা জমা দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। তালিকায় নাম থাকা ওই পাঁচ ব্যক্তি সরকারের সঙ্গে আলোচনায় কৃষকদের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

উল্লেখ্য, লোকসভা ও রাজ্যসভা পাশ হওয়া তিনটি কৃষি আইন বাতিল বিলে সই ইতিমধ্যেই করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ। দীর্ঘদিন ধরে এই বিল তিনটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন কৃষকরা। মূলত পঞ্জাব, হরিয়ানা ও পূর্ব উত্তর প্রদেশের কৃষকদের এই আইন বিরোধী আন্দোলন অংশগ্রহন ছিল চোখে পড়ার মতো। দীর্ঘ এক বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসার পর কৃষকদের দাবিকেই মান্যতা দেয় সরকার।

গত বছরের সেপ্টেম্বর সংসদে পাশ হওয়ার পর তিন কৃষি আইন তৈরি হয়েছিল। আর তারপর থেকেই কৃষকদের একটি অংশ বিক্ষোভ শুরু করেছিল। আইন পাশের বিরোধিতা করে দীর্ঘ এক বছর ধরে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন কৃষকরা একাংশ। কেন্দ্রের তরফে একাধিকবার বিক্ষোভরত কৃষকদের এই আইনগুলির সুবিধার কথা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এরই মধ্যে গুরু নানকের জন্মজয়ন্তীতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন Omicron on tourism: ওমিক্রনের জোর ধাক্কা! একের পর এক বাতিলে অনিশ্চয়তায় পর্যটন ব্যবস্যা

আরও পড়ুন Meghalaya congress crisis: আরও সঙ্কটে মেঘালয় কংগ্রেস, ১২ বিধায়কের পর দল ছাড়লেন দুই সিনিয়র কংগ্রেস নেতা