Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Railway Blanket: রেলের কম্বলের গন্ধে উঠে এল বমি, অসুস্থ ৩ যাত্রী, দাঁড় করিয়ে দিতে হল ট্রেন

Stinking blanket Indian Railway: এসি কামরায় এমন দুর্গন্ধওয়ালা কম্বল এবং বিছানার চাদর, যে অসুস্থই হয়ে পড়লেন তিন যাত্রী। চিকিৎসার জন্য দাঁড় করিয়ে রাখতে হল ট্রেন।

Railway Blanket: রেলের কম্বলের গন্ধে উঠে এল বমি, অসুস্থ ৩ যাত্রী, দাঁড় করিয়ে দিতে হল ট্রেন
রেলের কম্বল-বেডরোল নিয়ে বাড়ছে অভিযোগ (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 12, 2023 | 6:28 PM

লখনউ: চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ উঠল ভারতীয় রেলের বিরুদ্ধে। এসি কামরায় এমন দুর্গন্ধওয়ালা কম্বল এবং বিছানার চাদর দেওয়া হল, যে অসুস্থই হয়ে পড়লেন এক সত্তরোর্ধ ব্যক্তি-সহ তিন যাত্রী। এমনকি, তাঁদের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে পরবর্তী এক স্টেশনে আধঘণ্টার জন্য দাঁড় করিয়ে রাখতে হল ট্রেনটি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১২ জানুয়ারি), লখনউ-বারাণসী কৃষক এক্সপ্রেস ট্রেনে। এই ঘটনা প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে উত্তর-পূর্ব রেলপথকে।

সূত্রের খবর, ওই ট্রেনের এসি বি৫ কামড়ায় ব্যবহার করা এবং অত্যন্ত দুর্গন্ধময় কম্বল, বিছানার চাদর এবং বালিশ দেওয়া হয়েছিল। কম্বল ও বিছানাপত্তর থেকে এতটাই খারাপ গন্ধ বের হচ্ছিল যে এক সত্তর বছরের বৃদ্ধ এবং আরও দুই মহিলা যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিন জনেই লখনউয়ের চারবাগ রেল স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কম্বল গায়ে গিয়ে শুতে গিয়েই গা গুলিয়ে উঠেছিল ওই যাত্রীদের। অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে, তাঁদের চিকিৎসা সহায়তার প্রয়োজন পড়ে। এরপর বাদশাহনগর স্টেশনে পৌঁছনোর পর আধঘণ্টার জন্য দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনটিকে। রেলওয়ের চিকিৎসকদের একটি দল এসে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। তারপর ফের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ট্রেনটি।

উত্তর পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক পঙ্কজ সিং বলেছেন, “ওই যাত্রীরা অভিযোগ জানানোর পর, সুপারভাইজ়ার অবিলম্বে কম্বল এবং বেডরোল বদলে দিয়েছিলেন। তবে, ওই যাত্রীরা অসুস্থ বোধ করছিলেন, বমিও করে ফেলেন। তাই বাদশানগর স্টেশনে প্রায় ৩০ মিনিট ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে রেলের চিকিৎসকদের একটি দল ওই কামরায় গিয়েছিলেন। তাঁদের প্রয়োজনীয় ওষুধও দিয়েছিলেন। তবে, তাঁরা ওষুধ খেতে রাজি হননি। সেই সময় তাঁরা জানান আগের থেকে সুস্থ বোধ করছেন। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার পর, ট্রেনটি ফের রওনা দেয়।”