Joshimath: জোশীমঠ নিয়ে বৈঠকে শাহ, সেনা শিবিরে ফাটল হওয়ায় সরানো হল জওয়ানদের
সেনা শিবিরের ২৫-২৮টি ভবনে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে এবার সেনা শিবির অন্যত্র সরানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে।
জোশীমঠ: ডুবছে জোশীমঠ! এবার সেনা ছাউনির বহুতলগুলিতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে সেনা ছাউনির ২৫টি বহুতলে ফাটল দেখা দিয়েছে। গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। প্রয়োজনে সেনাদের অন্যত্র সরানো হবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ড। তবে চিন সীমান্ত সংলগ্ন জোশীমঠ এলাকা থেকে সেনা সরালে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে উদ্বিগ্ন অনেকেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে বৃহস্পতিবার বিকালেই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকালে জোশীমঠ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি, আর.কে সিং, ভূপেন্দ্র যাদব এবং গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত ছাড়াও স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা সহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পদস্থ আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। এমনকি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিক, আইআইটি রুরকি-র বিশেষজ্ঞ, জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এবং ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিয়োলজি-র বিশেষজ্ঞরাও ভিডিয়ো কনফারেন্সে এই বৈঠকে যোগ দেন। প্রায় ৪০ মিনিট বৈঠক হয়।এই বৈঠকে মূলত জোশীমঠের ভূমিধস, আবহাওয়া পরিস্থিতি থেকে শুরু করে মূল রাস্তাগুলির অবস্থা, বিদ্যুৎ সরবরাহ, জল সঙ্কট সহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। কী ভাবে বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়, তা নিয়েও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং তাঁদের পরামর্শ নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
যোশীমঠের বিপর্যস্ত পরিবারগুলিকে নিরাপদ স্থানে রাখার ব্যবস্থা করা সহ তাঁদের খাদ্য, আশ্রয় ও নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে জেলা প্রশাসনকে যথাযথ সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যে জোশীমঠের যে সমস্ত পরিবারগুলিকে অন্যত্র সরানো হয়েছে এবং যাঁরা এখনও বিপদের মুখে দাড়িয়ে রয়েছেন, তাঁদের সকলের সঙ্গে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে বলেছেন অমিত শাহ।
এদিকে, যোশীমঠের পরিস্থিতি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করতে সমগ্র এলাকা সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। প্রায় ৩ হাজার পরিবারের জন্য ৪৫ কোটি টাকার ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পিছু ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।
এদিকে, সেনা শিবিরগুলির ২৫-২৮টি ভবনে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে এবার সেনা শিবির অন্যত্র সরানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। তিনি বলেন, “সেনাদের আপাতত অস্থায়ীভাবে অন্যত্র সরানো হয়েছে। যদি প্রয়োজন হয়, সেনাদের স্থায়ীভাবে আউলিত স্থানান্তরিত করা হতে পারে।” তবে সেনা শিবির স্থানান্তরিত করা হলেও অপারেশনের প্রস্তুতিতে বিশেষ কোনও প্রভাব পড়বে না বলেও জানিয়েছেন সেনা প্রধান।