Modi Update: ‘হিমালয় যদি বলে জল দেব না, তাহলে কী হবে?’
PM Modi's reply in Rajya Sabha: রাষ্ট্রপতির বাজেট ভাষণের উপর রাজ্যসভায় জবাবি বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর আগে, সোমবার, লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ ৪০০-রও বেশি আসন এবং বিজেপি কমপক্ষে ৩৭০টি আসন জিতবে বলে আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেছিলেন, বিরোধীরা নির্বাচন লড়ার সাহসই হারিয়ে ফেলেছে। দীর্ঘ সময়ের জন্য তারা বিরোধী বেঞ্চেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলির ব্যর্থতা তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এদিন, রাজ্যসভায় তিনি কী বললেন, দেখে নিন -
নয়া দিল্লি: রাষ্ট্রপতির বাজেট ভাষণের উপর রাজ্যসভায় জবাবি বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর আগে, সোমবার, লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ ৪০০-রও বেশি আসন এবং বিজেপি কমপক্ষে ৩৭০টি আসন জিতবে বলে আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেছিলেন, বিরোধীরা নির্বাচন লড়ার সাহসই হারিয়ে ফেলেছে। দীর্ঘ সময়ের জন্য তারা বিরোধী বেঞ্চেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলির ব্যর্থতা তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এদিন, রাজ্যসভায় তিনি কী বললেন, দেখে নিন –
- আগামী ৫ বছরে ঘরে ঘরে পাইপে গ্যাসের সংযোগের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করা হবে। আজ ভারতের যুবরা পড়াশোনা করতে বিদেশে যায়। আমি এমন পরিস্থিতি তৈরি করব, যাতে তাদের লক্ষ লক্ষ টাকা বেঁচে যাবে। তারা ভারতেই উচ্চশিক্ষা করতে পারবে। মেড ইন ইন্ডিয়া চিপ গোটা বিশ্বে রফতানি করা হবে।
- আমাদের সময়ে ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র মুক্ত হয়েছে। অনেকে বলে, তাহলে কেন আমরা ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছি? হাসপাতাল রোগী ছাড়া পাওযার পর ডাক্তাররা তাঁদের সবধানে রাখতে বলেন। কারণ, আবার তাঁর অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই দারিদ্র থেকে বেরিয়ে যারা নয়া মধ্যবিত্ত হয়েছে, তারা ফের দারিদ্রে ডুবে যেতে পারে।
- দেশ হল মানুষের শরীরের মতো। পায়ে কাঁটা ফুটলে, হাত বলে না পায়ে কাঁটা ফুটেছে তো আমার কী? হাত সেই কাঁটা বের করে। সেই রকমই দেশের কোনও অংশ পিছিয়ে থাকলে, দেশ এগোবে কীকরে? হিমালয় যদি বলে, নদী আমার উপর দিয়ে বয়, আমি জল দেব না। তাহলে কী হবে? দেশের জাতীয় বোধকে ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে। কী সব ভাষা প্রয়োগ করা হচ্ছে?
- জি২০ বৈঠক আমরা শুধু দিল্লিতেই করতে পারতাম। কিন্তু, গোটা বছর ধরে গোটা দেশের সব রাজ্যে আমরা তা ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। আজ যখন বিদেশ থেকে কোনও অতিথি আমাদের দেশে আসেন, আমি চেষ্টা করি তাঁদের দেশের কোনও রাজ্যে নিয়ে যেতে। যাতে তিনি জানতে পারেন, শুধু দিল্লি আমাদের দেশ নয়।
- আমি সবসময় বলি, আমাদের এখন দেশে প্রতিযোগিতামূলক সহযোগিতামূলক যুক্তরাজ্য প্রয়োজন। করোনা মহামারির সময় এটা গোটা বিশ্ব দেখেছিল। সকল রাজ্য এবং কেন্দ্র একদল হয়ে কাজ করেছিল। যার ফলে, গোটা বিশ্ব যার মোকাবিলা করতে পারেনি, আমরা তা করে দেখিয়েছিলাম।
- আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম। আমি আঞ্চলিক আকাঙ্খা বুঝি। আমার তখনও মন্ত্র ছিল, দেশএর বিকাশের জন্য রাজ্যগুলির বিকাশের প্রয়োজন।
- কংগ্রেস তাদের যুবরাজকে স্টার্টআপ বানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তিনি নন-স্টার্টার। উনি লিফ্টও হচ্ছেন না, লঞ্চও হচ্ছেন না।
- কংগ্রেস নেতারা বলেন, আমি পিএসইউ বেচে দিয়েছি। ডুবিয়ে দিয়েছি। মনে রাখবেন বিএসএনএল কারা ডুবিয়েছিল। হ্যালের অবস্থা কী করেছিল ওরা। এয়ার ইন্ডিয়াকে কারা বরবাদ করেছিল? কংগ্রেস এবং ইউপিএ সরকার। বিএসএনএল আজ ৫জি-র দিকে দৌড়চ্ছে। হ্যাল আজ রেকর্ড সংখ্যক উৎপাদন করছে। এলআইসি নিয়েও অনেক কথা বলা হয়েছিল। আজ এলআইসি-র শেয়ার রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। ২০১৪ সালে ভারতে ২৩৪টি পিএসইউ ছিল, আজ তা ২৫৪ হয়ে গিয়েছে। আর ওরা বলছে আমি বেচে দিয়েছি।
- আমি স্বাধীন ভারতে জন্মেছি, আমার ভাবনা-চিন্তা স্বাধীন, স্বপ্নও স্বাধীন।
- বাবাসাহেব আম্বেদকরের ভাবনা-চিন্তাকে ভুলিয়ে দিতে চেষ্টার কোনও কসুর রাখেনি কংগ্রেস। তাঁকে ভারতরত্ন দেয়নি তারা। অনগ্রসর শ্রেণি থেকে আসা কংগ্রেস সভাপতি সীতারাম কেশরীকে ফুটপাতে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
- ভারতের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখে নেহরু জানিয়েছিলেন, “আমি সব রকমের সংরক্ষণের বিরোধী। বিশেষ করে চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ তো একেবারেই নয়।” তিনি মনে করতেন, এসসি-এসটিরা সরকারি চাকরি করলে, সরকার পিছিয়ে যাবে। জম্মু-কাশ্মীরে তো কংগ্রেস সাত দশক ধরে এসসি-এসটিদের সংরক্ষণের অধিকারই দেয়নি। আমরা অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রক্যাহারের পরই এই অধিকার পেয়েছেন তাঁরা।
- আজকাল দেশে ফের জাত-পাত নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। দলিত, আদিবাসী এবং অনগ্রসর শ্রেণি। কংগ্রেস জন্ম থেকেই এদের সবথেকে বড় বিরোধী। বাবাসাহেব আম্বেদকর না থাকলে, এসসি-এসটি সংরক্ষণ পেত কিনা কে জানে?
- স্বাধীনতার পরও দেশে দাসত্বের মনোভাব কারা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল? যদি কংগ্রেস ইংরেজদের দ্বারা প্রভাবিত ছিল না, তাহলে কেন ইংরেজদের তৈরি ভারতীয় দণ্ডবিধি কেন বদলাননি? কেন রাজপথকে কর্তব্যপথে বদলাননি? কেন আন্দামান নিকোবর দ্বীপে ইংরেজদের ছাপ থেকে গিয়েছিল? কেন ভারতীয় ভাষায় পড়াশোনাকে উৎসাহ দেননি?
- পলিসি প্যারালিসিস কংগ্রেস সরকারের পরিচয় হয়ে গিয়েছিল। আমাদের সময় আমরা পঞ্চম বড় অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছি।
- দুর্নীতি নিয়ে বলেছিলেন, “দেশে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। সরকারি কার্যালয়ের অপব্যবহার নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে।”
- ইউপিএ সরকারের ১০ বছরের সময়, মনমোহন সিং বলেছিলেন, “সাংসদরা জানেন, আমাদের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গতি কমে গিয়েছে। রাজস্বঘাটতি আমাদের অনুমানের থেকেও বেড়ে গিয়েছে। গত দুই বছর ধরে দাম বাড়ছে।”
- কংগ্রেসের নীতির গ্যারান্টি নেই, নেতার গ্যারান্টি নেই, তারা মোদীর গ্যারান্টি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে? কংগ্রেস তার কর্মফল ভোগ করছে।
- যে কংগ্রেস লোকতন্ত্রর গলা টিপে ধরেছিল, কাগজের অফিসে তালা লাগানোর চেষ্টা করেছিল, তারাই আজ দেশকে উত্তর-দক্ষিণে ভাঙার চেষ্টা করছে।
- কংগ্রেসের ভাবনাচিন্তা আউটডেটেড হয়ে গিয়েছে, তাই তারা আউটসোর্সিং করছে। কংগ্রেসের পতন দেখে আমার কষ্ট হয়।
- বাংলা থেকে কংগ্রেসের জন্য চ্যালেঞ্জ এসেছে, কংগ্রেস ৪০টিরও বেশি আসন জিততে পারবে না। আপনারা যাতে ৪০ টি আসন রক্ষা করতে পারেন, আমি সেই কামনা করি।
- দেশের জনতা আমার গলায় আওয়াজ দিয়েছে, আপনারা দমাতে পারবেন না।
- কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে না থাকায় লোকসভায় বিনোদনের জন্য ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী। সনিয়া এবং রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে তিনি বললেন, খাড়্গে এত কথা বলেন যে তাঁর “দুই বিশেষ কমান্ডো রাজ্যসভায় অনুপস্থিত ।”