PM Narendra Modi: ‘ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল’, ‘অন্ধকারময়’ জরুরি অবস্থার কথা মনে করালেন প্রধানমন্ত্রী

Mann Ki Baat: এ দিনের অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "১৯৭৫ সালের জুন মাসে যখন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন নাগরিকদের সমস্ত অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে নাগরিকদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।"

PM Narendra Modi: 'ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল', 'অন্ধকারময়' জরুরি অবস্থার কথা মনে করালেন প্রধানমন্ত্রী
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 26, 2022 | 1:22 PM

নয়া দিল্লি: জরুরি অবস্থা চলাকালীন দেশ যে অন্ধকার সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল, তা যেন কখনওই কেউ ভুলে না যান, তার অনুরোধ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানের ৯০ তম পর্বে আজাদির অমৃত মহোৎসব নিয়েই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আজ যখন আমরা দেশের স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ ও আজাদির অমৃত মহোৎসব পালন করছি, তখন জরুরি অবস্থা চলাকালীন দেশের অন্ধকার সময়ের কথা ভুললেও চলবে না। আমাদের আগামী প্রজন্মও যেন এই অন্ধকার সময়ের কথা ভুলে না যায়।”

এ দিনের অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “১৯৭৫ সালের জুন মাসে যখন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন নাগরিকদের সমস্ত অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে নাগরিকদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সেই সময়ে ভারতের গণতন্ত্রকে দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙে ফেলা হয়েছিল। দেশের আদালত, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, সংবাদমাধ্যম- সবকিছুই সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। নজরদারি এতটাই কড়া ছিল যে বিনা অনুমতিতে কিছুই ছাপানো যেত না। কিন্তু এতকিছুর পরও গণতন্ত্রের উপর থেকে সাধারণ মানুষের বিশ্বাসকে টলানো যায়নি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করেই সাধারণ মানুষ জরুরি অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছিল এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করে।”

দেশের যুব প্রজন্মের কাছেও প্রশ্ন রাখেন যে, “আমি যুব প্রজন্মদের কাছে প্রশ্ন করতে চাই যে তোমাদের মা-বাবা যখন তোমাদের বয়সী ছিল, তখন তাদের সমস্ত অধিকার যে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, এটা কি জানো? ১৯৭৫ সালের জুন মাসে এই ঘটনাটি ঘটেছিল, জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল দেশে।”

বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী কিশোর কুমারের প্রসঙ্গও টেনে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আমার মনে আছে, যখন বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী কিশোর কুমার সরকারের প্রশংসা করতে অস্বীকার করেছিলেন, তখন তাঁকে ব্যান করে দেওয়া হয়েছিল। ওনাকে রেডিয়োতেও গান করতে দেওয়া হয়নি। অন্ধকার এই সময়ের কথা কখনওই ভোলা উচিত নয়। অমৃত মহোৎসব শুধু বিদেশি শক্তির হাত থেকে স্বাধীনতার গল্পই বলে না, একইসঙ্গে স্বাধীনতার ৭৫ বছরের দীর্ঘ যাত্রার কাহিনিও বলবে।”

জরুরি অবস্থার পাশাপাশি মন কি বাত অনুষ্ঠানে দেশের উন্নয়নের নানা দিকও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বিগত কয়েক বছরে কীভাবে দেশে একাধিক স্টার্ট আপ সংস্থা তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে একাধিক উদাহরণও তুলে ধরেন তিনি। মহাকাশ বিজ্ঞানেও ধীরে ধীরে ভারত উন্নতি করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

একইসঙ্গে দেশের ক্রীড়াবিদদের প্রশংসাও শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর মুখে। তিনি বলেন, “এবারও একাধিক নতুন প্রতিভা উঠে এসেছে। এদের মধ্যে অনেকেই অতি সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। এই খেলোয়াড়রা প্রচুর পরিশ্রম করেছেন এবং সাফল্যের এই শিখরে পৌছতে পেরেছেন। সম্প্রতি খেলো ইন্ডিয়া ইয়ুথ গেমসেও আমাদের খেলোয়াড়রা একাধিক রেকর্ড তৈরি করেছে। এদের মধ্যে ১১ জন আবার মহিলা ক্রীড়াবিদ। অলিম্পিকে আমাদের স্বর্ণপদকজয়ী নীরজ চোপড়া ফিনল্যান্ডে রূপোর পদক জিতেছে। নিজের জ্যাভেলিনের রেকর্ডও ভেঙে ফেলেছেন তিনি।”