বৃষ্টির জল সংরক্ষণে ১০০ দিনের কর্মসূচির ডাক, ‘মন কি বাতে’ নমোর মুখে গোপন আক্ষেপ

"মন কি বাত" অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi) বলেন, "মে-জুন মাসে বর্ষাকাল শুরু হওয়ার আগে ১০০ দিনের কর্মসূচির মাধ্যমে নদী, জলাশয় পরিষ্কার ও জল সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই জলশক্তি মন্ত্রক (Jal Shakti Ministry)-র তরফেও 'বৃষ্টি ধরো' অভিযান শুরু করা হবে।"

বৃষ্টির জল সংরক্ষণে ১০০ দিনের কর্মসূচির ডাক, 'মন কি বাতে' নমোর মুখে গোপন আক্ষেপ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Follow Us:
| Updated on: Feb 28, 2021 | 1:36 PM

নয়া দিল্লি: ১০০ দিনের কর্মসূচির মাধ্যমে এবার জল সংরক্ষণ ও নদী-জলাশয় পরিষ্কারের উদ্যোগ নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর রবিবার প্রথম “মন কি বাত” (Mann ki Baat) অনুষ্ঠানে একবারও আসন্ন নির্বাচনের কথা উল্লেখ করলেন না প্রধানমন্ত্রী, বরং জল সংরক্ষণ ও কীভাবে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠা যায়, সেই বিষয়টিকেই নানা কথায় তুলে ধরলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বললেন, “দশকের পর দশক ধরে মানবজাতির উন্নয়নে জল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সুতরাং জল সংরক্ষণের গুরুত্ব বুঝতে হবে আমাদের।”

এদিনের “মন কি বাত” অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই মাঘ মাসে হরিদ্বারে কুম্ভ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ২২ মার্চ বিশ্ব জল দিবস পালন করা হবে। মাঘ মাসের সঙ্গেই এইদিনটি সম্পর্কযুক্ত কারণ এই মাসের পরেই শীতকাল শেষ হয় এবং গ্রীষ্ম শুরু হয়। জল সংরক্ষণের বিষয়ে আমাদের দায়িত্ব বুঝতে হবে। মে-জুন মাসে বর্ষাকাল শুরু হওয়ার আগে ১০০ দিনের কর্মসূচির মাধ্যমে নদী, জলাশয় পরিষ্কার ও জল সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই জলশক্তি মন্ত্রকের তরফেও ‘বৃষ্টি ধরো’ অভিযান শুরু করা হবে।”

একইসঙ্গে আজ জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হওয়ায় সেই বিষয়টিও উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আজ জাতীয় বিজ্ঞান দিবস। এই দিনটি বৈজ্ঞানিক সিভি রমণের আবিষ্কার ‘রমণ এফেক্ট’কে সম্মান জানিয়েই উৎসর্গ করা হয়েছে। আমাদের দেশের যুব সম্প্রদায়ের উচিত ভারতীয় বৈজ্ঞানিকদের সম্পর্কে পড়া ও ভারতীয় বিজ্ঞানের ইতিহাস সম্পর্কে জানা। আত্মনির্ভর ভারত গড়তেো বিজ্ঞানের বিশাল অবদান রয়েছে। ‘ল্যাব টু ল্যান্ড’ এই মন্ত্র অনুসরণ করে আমাদের বিজ্ঞানকে অগ্রসর করা হবে।”

আরও পড়ুন: মোদীর ছবি মহাকাশযানেও , স্যাটেলাইটের সঙ্গে মহাকাশে গেল ভাগবত গীতাও

দেশের মানুষদের আত্মনির্ভরতার উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, বেতিয়ার বাসিন্দা প্রমোদ দিল্লিতে এলইডি কারখানায় কাজ করতেন। সেখান থেকেই তিনি কাজ শিখে আজ নিজেই ছোট একটি এইডি বাল্ব তৈরির কারখানা তৈরি করেছেন। আবার ওড়িশার বাসিন্দা শিলু নায়ক রাজ্যের যুবকদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেন ও তাঁদের প্রশিক্ষণ দেন। তিনি বলেন, “আত্মনির্ভর ভারত কেবল অর্থনীতির জন্যই নয়। যখন সাধারণ মানুষ দেশীয় পণ্য নিয়ে গর্ববোধ করেন, তখন আত্মনির্ভর ভারত কেবল একটি অর্থনৈতিক প্রকল্প নয়, বরং একটি জাতীয় উদ্যোগে পরিণত হয়।”

প্রধানমন্ত্রীর কোনও আক্ষেপ রয়েছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কখনও কখনও সাধারণ একটি প্রশ্নও আপনাকে ভিতর থেকে নাড়িয়ে দেয়। কিছুদিন আগেই আমাকে একজন প্রশ্ন করেছিলেন যে কিছু শিখতে না পারার আক্ষেপ রয়েছে কিনা, আমি নিজেকেই বললাম যে বিশ্বের সবথেকে প্রাচীন ভাষা তামিল শেখার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করিনি। তামিল সাহিত্য অত্যন্ত সুন্দর।”

আগামী কয়েক মাসেই একাধিক পরীক্ষা থাকায় পড়ুয়াদের উৎসাহিত করতে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “মনে রেখো তোমাদের যোদ্ধা হতে হবে, দুচিন্তা করলে হবে না। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে প্রস্তুতি নাও, ভাল করে ঘুমোও, সময়ের সঠিক ব্যবহার করো এবং খেলাধুলো করো। পরীক্ষা পে চর্চার আগে আমি পড়ুয়া, শিক্ষক ও অভিভাবকদের ‘মাই গভর্মেন্ট’ ওয়েবসাইটে টিপস ভাগ করার অনুরোধ করছি।”

আরও পড়ুন: ‘টাকা না দিলে এ বার গাড়ি চাপা দেব’, দায়স্বীকার করে অম্বানীকে হুঁশিয়ারি জইশ-উল-হিন্দের