PM Narendra Modi: জাতীয় শিক্ষানীতি দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এবং ভবিষ্যৎমুখী: মোদী
প্রতিবছর যেন গুরুকুল থেকে ১০০ থেকে ১৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অন্তত ১৫ দিনের জন্য উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে পাঠানো হয় এবং সেখানকার যুবকদের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের পরিচয় দিয়ে তাঁদের সম্পর্কে যেন লেখে।
রাজকোট: দেশের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করতে এবং ভবিষ্যৎ শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে লক্ষ্য রেখেই তৈরি করা হয়েছে জাতীয় শিক্ষা নীতি। শনিবার অমৃত মহোৎসবের ৭৫ বছর উপলক্ষে রাজকোটের শ্রী স্বামীনারায়ণ গুরুকূলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনই দাবি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ প্রসঙ্গে তিনি পূর্বতন সরকারকে ‘দাস মানসিকতাসম্পন্ন’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। পাশাপাশি দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে স্বামীনারায়ণ গুরুকূলের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
এদিন রাজকোটের শ্রী স্বামীনারায়ণ গুরুকুলে দেশের ‘অমৃত মহোৎসব’র ৭৫ তম বর্ষ উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যোগদান করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই ভিডিও কনফারেন্স থেকে তিনি জাতীয় শিক্ষানীতির প্রসঙ্গ তুলে জোর সাওয়াল করেন। জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের জবাব দিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা খুব ভালো করে জানেন যে, ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আমাদের বিদ্যমান শিক্ষানীতি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। তাই স্বাধীনতার এই অমৃত-কালে দেশের শিক্ষা পরিকাঠামো ও নীতির উন্নয়ন ঘটাতে আমরা প্রতিটি স্তরে কাজ করে যাচ্ছি।” এরপরই নতুন শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশ প্রথমবারের মতো এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এবং ভবিষ্যৎমুখী।”
২০১৪ সালের পর থেকে সারাদেশে IIT, IIM এবং মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ৬৫ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি। জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে এদিন পূর্বতন সরকারকেও একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “দেশ যখন স্বাধীন হয়েছিল তখন ভারতের প্রাচীন গৌরব এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে মহান গৌরবগুলি পুনরুদ্ধার করা আমাদের দায়িত্ব ছিল। কিন্তু দাস মানসিকতার ফলে সরকার সেদিকে তাকাইনি এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা উল্টো দিকে চলে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আবার আচার্য এবং সাধুরা নতুন করে দায়িত্ব নিয়ে সেই কাজ করতে শুরু করেছেন।” তারই একটি ‘জ্বলন্ত উদাহরণ’ শ্রী স্বামীনারায়ণ গুরুকুল বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর দাবি, “নতুন শিক্ষানীতিতে ভর করে ২০৪৭ সালে ভারত যখন স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করবে, তখন উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিত নাগরিক এবং যুবকেরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ করবে।”
এদিন ভিডিয়ো কনফারেন্স থেকে স্বামী নারায়ণ গুরুকুলের কাছে বিশেষ আবেদনও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “প্রতিবছর যেন গুরুকুল থেকে ১০০ থেকে ১৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অন্তত ১৫ দিনের জন্য উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে পাঠানো হয় এবং সেখানকার যুবকদের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের পরিচয় দিয়ে তাঁদের সম্পর্কে যেন লেখে।”