PM Modi to Address Nation: গুরুনানকের জন্মজয়ন্তীতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
PM Modi to Address Nation: গুরুনানকের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যেই দেশবাসীকে বিশেষ বার্তা দিতে চেয়েছেন।
নয়া দিল্লি: দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এ দিন প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে টুইট বার্তায় জানানো হয়, সকাল ৯টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, গুরুনানক(Guru Nanak)-র জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বিশেষ বার্তা দিতে চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আজ শ্রী গুরু নানক দেবজীর প্রকাশ পূরব। আজই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তর প্রদেশের মাহোবায় সেচ সংক্রান্ত বিশেষ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এরপর তিনি ঝাঁসিতে যাবেন। সেখানে তিনি রাষ্ট্র রক্ষা সমর্পণ পর্বে যোগদান করবেন। তবে এই সমস্ত অনুষ্ঠানের আগে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন।
Today is the Parkash Purab of Sri Guru Nanak Dev Ji.
Today PM will inaugurate key schemes relating to irrigation in Mahoba, Uttar Pradesh.
Then, he will go to Jhansi for the ‘Rashtra Raksha Samparpan Parv.’
Before all of these programmes, he will address the nation at 9 AM.
— PMO India (@PMOIndia) November 19, 2021
চলতি সপ্তাহেই দীর্ঘ ২০ মাসের ব্যবধানের পর খুলে দেওয়া হয় কর্তারপুর সাহিব করিডর (Kartarpur Sahib Corridor)। পাকিস্তানের গুরুদ্বার দরবার সাহিবে ফের যাত্রা শুরু করেছেন ভারতীয়রা। গুরুনানকের জন্মজয়ন্তীর ঠিক আগেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছিল গোটা শিখ সম্প্রদায়ই। বর্তমানে পাকিস্তানে অবস্থিত গুরুদ্বার দরবার সাহিব শিখ সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান বলেই মানা হয়। মনে করা হয়, গুরুনানক তাঁর জীবনের শেষ ১৮ বছর এই গুরুদ্বারেই কাটিয়েছিলেন। ১৫৩৯ সালে এখানেই তিনি শেষ নিশ্বাঃস নিয়েছিলেন।
পঞ্জাবের গুরদাসপুরের ডেরা বাবা নানক স্মৃতি সমাধি থেকে সরাসরি পাকিস্তানের গুরুদ্বার দরবার সাহিবকে সংযুক্ত করে সাড়ে চার কিমি দীর্ঘ এই করিডর। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বরে, কর্তারপুর করিডরটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান উদ্বোধন করেছিলেন। তবে মার্চ মাসে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরই পাকিস্তান এই করিডরের মাধ্যমে গুরুদ্বার দরবার সাহিবে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়।
গত সপ্তাহেই বিজেপির একটি সদস্যদল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা(JP Nadda)-র সঙ্গে দেখা করে এই করিডর খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান। এরপর গত ১৫ নভেম্বরই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ওই করিডর খুলে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়।
শিখ ধর্মের প্রবর্তক গুরু নানকের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গুরুপরব পালিত হয় সারা দেশজুড়ে, তার আগেই কর্তারপুর করিডর খুলে দিতে পারায় কেন্দ্রের তরফেও উচ্ছাস প্রকাশ করা হয়েছিল। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইট করে বলেছেন, ‘এমন পদক্ষেপ শ্রী গুরু নানক দেবজী ও আমাদের শিখ সম্প্রদায়ের প্রতি নরেন্দ্র মোদী সরকারের অপরিসীম শ্রদ্ধা প্রতিফলিত হয়েছে।”
প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০ জন করে পুণ্যার্থীকে যেতে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তান-দুই দেশের কাছেই পুণ্যার্থীদের তালিকা জমা দেওয়া হবে দৈনিক ভিত্তিতে। তবে ১৯ নভেম্বর গুরু নানক জন্মজয়ন্তী থাকায় সেদিন পুণ্যার্থীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
কর্তারপুর সাহিব করিডর ব্যবহার করে যারাই পাকিস্তানের গুরুদ্বারে যাবেন, তাদের নিয়মিত তাপমাত্রা পরীক্ষা ও স্যানিটাইজ়েশনের দিকে নজর রাখা হবে। সমস্ত পুণ্যার্থীদেরই সর্বদা মাস্ক পরে থাকতে হবে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। করোনা টিকার শংসাপত্র ছাড়াও যাত্রার ৭২ ঘণ্টা আগে করানো আরটি-পিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্টও দেখাতে হবে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানে পৌঁছে পুণ্যার্থীদের ফের একবার ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করানো হতে পারে। যদি কারোর মধ্য়ে করোনার উপসর্গ দেখা যায়, তবে তাঁকে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করা হবে।