Hathras Stampede: নরক কী এটাই? হাথরসের মর্গে এত মৃতদেহ দেখে অসুস্থ পুলিশকর্মী, মিনিট খানেক পরই মৃত্যু
Hathras Stampede: ডিউটিতে যাওয়ার পরই এত মৃতদেহ দেখে অসুস্থ বোধ করেন রবি কুমার। দরদর করে ঘামতে শুরু করেন। অস্বস্তি হওয়ায় তিনি শার্টও খুলে ফেলেন। সহকর্মীরা ধরাধরি করে তাঁকে মর্গের সামনে থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে এসি রুমে বসান। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি।
হাথরস: ১০, ২০ থেকে বাড়তে বাড়তে ৮০, ৯০, ১০০… চারিদিকে মৃতদেহের পাহাড়। লাশের পর লাশ ঢুকছে মর্গে। দেহগুলি থেকে চুঁইয়ে পড়ছে রক্ত। চোখে দেখা যাচ্ছিল না এই বীভৎস দৃশ্য। বুকের ভিতরে শুরু হয়েছিল অস্বস্তি। ডিউটি করতে করতেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন কন্সটেবল। গরমে খুলে ফেললেন শার্ট। সহকর্মীরা ধরাধরি করে এসি রুমে নিয়ে গেলেও, শেষ রক্ষা আর হল না। হাথরসের মর্গে কর্তব্যরত কন্সটেবলের মৃত্যু হল এত মৃতদেহ দেখে।
এটাহ জেলার আওয়াগড় পুলিশ স্টেশনের কন্সটেবল রবি কুমারকে পাঠানো হয়েছিল হাথরসের মর্গে। সেখানে ভোলেবাবার সৎসঙ্গে পদপিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১২১ জনের। সেই মৃতদেহগুলিই একে একে আনা হচ্ছিল মর্গে। কিউআরটি ডিউটিতে ছিলেন রবি কুমার। ওয়ারলেসে পদপিষ্ট হওয়ার খবর পেয়েই তাঁকে এটাহ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়।
ডিউটিতে যাওয়ার পরই এত মৃতদেহ দেখে অসুস্থ বোধ করেন রবি কুমার। দরদর করে ঘামতে শুরু করেন। অস্বস্তি হওয়ায় তিনি শার্টও খুলে ফেলেন। সহকর্মীরা ধরাধরি করে তাঁকে মর্গের সামনে থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে এসি রুমে বসান। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই কন্সটেবলের মৃত্যু হয়।
প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, হার্ট অ্যাটাক হয়েই ওই পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। একসঙ্গে এত মৃতদেহ দেখে তিনি অসুস্থবোধ করতে শুরু করেন। এরপরই হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর।