‘কৃষক নয়, পিছু হটতে বাধ্য হবে কেন্দ্রই’, কড়া সমালোচনা রাহুলের

কেন্দ্রকে আক্রমণ করে রাহুল গান্ধী বলেন, "কোথায় সংশয়? একটাই মাত্র ইস্যু- কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হোক।"

'কৃষক নয়, পিছু হটতে বাধ্য হবে কেন্দ্রই', কড়া সমালোচনা রাহুলের
কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সরব রাহুল গান্ধী। ছবি:ANI
Follow Us:
| Updated on: Feb 03, 2021 | 5:02 PM

নয়া দিল্লি: তিনি কৃষকদের চেনেন। তাই নিশ্চিত, “কৃষকরা নয়, পিছু হটতে হবে কেন্দ্রকেই”। সাংবাদিক বৈঠক থেকে এমনটাই জানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আন্তর্জাতিক মহলের নজর কাড়তেই নতুন গতি পেয়েছে কৃষক আন্দোলন। কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বুধবার ফের একবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, “দিল্লি সীমান্তকে রীতিমতো দুর্গে পরিণত করা হয়েছে।”

গতকালই দিল্লি সীমান্তের একাধিক ছবি টুইটারে শেয়ার করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই টুইটে তিনি কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “দেওয়াল নয়, সেতু তৈরি করুন”। আজ সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “কাঁটাতার, কংক্রিটের ব্যারিকেড ও পুলিশ এবং প্যারামিলিটারি বাহিনী নিয়োগ করে দিল্লি সীমান্তকে রীতিমতো দুর্গে পরিণত করা হয়েছে।”

কৃষক আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি বলেন, “আমি কৃষকদের যতদূর জানি, তাঁরা পিছু হটবেন না। ভবিষ্যতেও আন্দোলন জারি রাখবেন। শেষ অবধি সরকারকেই পিছু হটতে হবে, সুতরাং আজই সেই কাজটি করা উচিত। বর্তমানের পরিস্থিতি দেশের পক্ষে একদমই মঙ্গলদায়ক নয়।”

আরও পড়ুন: কোন কোন রাজ্যে রোহিঙ্গারা? বাংলা আছে? তথ্য দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

আন্তর্জাতিক মহলেও কৃষক আন্দোলন নিয়ে যে আলোচনা শুরু হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভারতের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষকদের সঙ্গে কীরকম ব্যবহার করা হচ্ছে, কেবল তাই-ই নয়, দেশের নাগরিক, সাংবাদিকদের সঙ্গেও যেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তারও প্রভাব পড়েছে দেশের ভাবমূর্তিতে। কেন্দ্রীয় সরকারের কারণেই ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

কেন্দ্রকে আক্রমণ করে রাহুল গান্ধী বলেন, “কোথায় সংশয়? একটাই মাত্র ইস্যু- কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হোক।” কৃষকদের মারধোর করা হচ্ছে, এই অভিযোগ করে তিনি বলেন, “দিল্লি ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কৃষকরা। ওনারাই আমাদের বাঁচার ক্ষমতা দেন। দিল্লিকে কেন দুর্গে পরিণত করা হচ্ছে? তাঁদের কেন হুমকি, মারধোর ও খুন করা হচ্ছে? সমস্যার সমাধান করতে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে না কেন সরকার?”

এর আগে সোমবার কৃষক আন্দোলন নিয়ে টুইট করায় একাধিক টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করেও তিনি টুইট করে লেখেন, “মুখ বন্ধ করে দেওয়া, সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া ও তাঁদের ধ্বংস করে দেওয়া-এটাই মোদী সরকারের স্টাইল।”

আরও পড়ুন: ব্রিটিশ শাসনকালেও আইন প্রত্যাহার হয়েছিল! রাজ্যসভার আলোচনায় দাবি কংগ্রেস নেতার