Rajasthan Congress: কংগ্রেস বনাম কংগ্রেস! অবৈধ খননে জড়িত মন্ত্রী, বিধায়কের দাবিতে চাঞ্চল্য
Congress: অতিথি তালিকায় নাম না থাকার কারণে সরকারি অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন ৩ মন্ত্রী। পর্যটন মন্ত্রকের তরফে জয়পুরের একটি পাঁচতারা হোটেল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
জয়পুর: আগামী বছর রাজস্থানে (Rajasthan) বিধানসভা নির্বাচন। তার ঠিক আগেই প্রত্যেক দিন একের পর এক ইস্যুতে রাজস্থানের শাসকদল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়ছে। শুক্রবার রাজ্যের সঙ্গুদ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়ক ভরত সিং মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে (Ashok Gehlot) চিঠি লিখে মন্ত্রী প্রমোদ ভায়ার ওপর গুরুতর অভিযোগ এনেছিল। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বিধায়ক লেখেন, “বরানে অবৈধ খননে নজির গড়েছেন ভায়া। দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারি আধিকারিকদের বদলি করে সেই জেলায় নিয়ে আসা হয়েছে। জঙ্গল, জমি, নদী সর্বত্র মন্ত্রী অবৈধ খনন চালিয়েছেন। অবৈধ খননের কারণে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।” যত দ্রুত সম্ভব মন্ত্রিসভা থেকে ভায়ার অপসারণ দাবি করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক ভরত সিং। অতীতেও কংগ্রেস বিধায়কের তরফে ভায়ার বিরুদ্ধে একাধিকবার দলের শীর্ষস্তরে অভিযোগ জানানো হয়েছিল।
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা কংগ্রেস প্রসঙ্গে প্রমোদ ভায়া জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা যাবতীয় অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’। সাংবাদিকদের মন্ত্রী ভায়া বলেন, “আমরা মেয়াদকালে অবৈধ খননের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা অতীতের সরকারগুলির সময় করা হয়নি। সাঙ্গদের বিধায়ক হয়তো আগের সরকার অনুমোদিত দুষ্টচক্রের দ্বারা প্রভাবিত।” দলের সরকারে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলীয় বিধায়কের আনা ‘গুরুতর’ অভিযোগ নিয়ে রাজস্থানের রাজনীতিতে নতুন করে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও কংগ্রেস সভাপতি সচিন পাইলটের ‘শীতল’ সম্পর্কের কথা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের নখদর্পণে। তাঁদের দাবি, আগামী দিন কংগ্রেসের দলীয় কোন্দল আরও বাড়তে পারেন।
অন্যদিকে, অতিথি তালিকায় নাম না থাকার কারণে সরকারি অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন ৩ মন্ত্রী। পর্যটন মন্ত্রকের তরফে জয়পুরের একটি পাঁচতারা হোটেল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটেল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তথা রাজস্থান টুরিজম ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ধর্মেন্দ্র রাঠোরের নাম ছিল না। শুক্রবার এই নিয়ে এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে অভিযোগ দায়ের করেছেন ধর্মেন্দ্র। নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, রাজস্থানের দলীয় কোন্দর নিঃসন্দেহে সনিয়া-রাহুলদের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। আগামী কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব কীভাবে পরিস্থিত সামাল দেয় সেটাই এখন দেখার।