Rishi Nityapragya: করোনা কাটিয়ে বাড়ি ফিরে শ্বাসকষ্ট, প্রয়াত ঋষি নিত্যপ্রজ্ঞা

Art of Living Foundation: রবিবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছুটি চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাড়িতে আসার পর সোমবার সকালে ফের শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে শুরু করেন। ওই দিন পরে ভদোদরায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি।

Rishi Nityapragya: করোনা কাটিয়ে বাড়ি ফিরে শ্বাসকষ্ট, প্রয়াত ঋষি নিত্যপ্রজ্ঞা
প্রয়াত ঋষি নিত্যপ্রজ্ঞা (ছবি - টুইটার)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 29, 2021 | 6:37 PM

নয়া দিল্লি : করোনায় পরবর্তী জটিলতায় প্রয়াত আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশনের (Art of Living Foundation) প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ঋষি নিত্যপ্রজ্ঞা (Rishi Nityapragya)। সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, কোভিড-১৯-এর পরবর্তী শারীরিক জটিলতার কারণে প্রাণ হারান তিনি। ঋষি নিত্যপ্রজ্ঞা একজন বহুমুখী প্রতিভার মানুষ ছিলেন। কর্পোরেট জগতে যথেষ্ট ছাপ ফেলেছেন তিনি। প্রয়াত ঋষি নিত্যপ্রজ্ঞা শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পরে ১৩ ডিসেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছুটি চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাড়িতে আসার পর সোমবার সকালে ফের শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে শুরু করেন। ওই দিন পরে ভদোদরায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি।

আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশনের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “তিনি কয়েক দশক ধরে নিঃস্বার্থভাবে সমাজের সেবা করেছেন এবং তাঁর প্রাণময় ও ভক্তিমূলক সৎসঙ্গের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন। তাঁর উদ্যম এবং ক্যারিশ্মা অতুলনীয়। চিরকাল আমাদের হৃদয় ও স্মৃতিতে থাকবেন তিনি।”

কে ছিলেন ঋষি নিত্যপ্রজ্ঞা?

বৃহত্তম অলাভজনক সংস্থা আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের ঘনিষ্ঠ সহযোগীও ছিলেন ঋষি নিত্যপ্রজ্ঞা।

শিক্ষাগত যোগ্যতার নিরীখে তিনি একজন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। এর পাশাপাশি কর্পোরেট জগতেও নিজের পদচিহ্ন স্পষ্ট করেছেন তিনি। একটি সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সংস্থায় ফিন্যান্সিং পার্টনার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। এ ছাড়া বাইক-রেসিংয়েও যথেষ্ট উৎসাহী ছিলেন তিনি। গানের গলাও অসাধারণ। পেশাদার গায়ক হিসেবেও যথেষ্ট খ্যাতি পেয়েছিলেন তিনি।

ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর থাকাকালীন তিনি সংগঠনের শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। তাঁকে তার অনুগামীরা একজন ‘আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানী’ এবং মানবতার সেবা করার আকাঙ্ক্ষা সহ সীমাহীন শক্তির অধিকারী হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

বিজ্ঞানের প্রতি তাঁর বরাবরই ভীষণ ঝোঁক ছিল। তাঁর ধারণাগুলিকে একত্রে ‘স্বাধ্যায় – আত্ম-অন্বেষণ’ বলা হয়। এটাকে তার জীবনের পথনির্দেশক নীতি বলা হয়। তিনি বলতেন, “প্রকৃতি প্রতিটি মানুষকে অসীম ক্ষমতা দিয়েছে”।

তাঁর ওয়েবসাইটে বলেছে যে তিনি সারা বিশ্বে দশ লাখ মানুষকে ধ্যান এবং বিভিন্ন ব্যবহারিক বিষয়ে শিখিয়েছেন। ছাত্র থেকে কর্পোরেট এক্সিকিউটিভ, ডাক্তার থেকে শিল্পপতি, আইনজীবী থেকে শিক্ষাবিদ পর্যন্ত – এ এক বিশাল ব্যাপ্তি। একজন শিক্ষক, একজন পরামর্শদাতা, একজন আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক, একজন গবেষক, বিজ্ঞানী, একজন লেখক, একজন গায়ক হওয়া সত্ত্বেও, ঋষি নিত্যপ্রাগ্য এখনও নিজেকে ‘জীবনের ছাত্র’ বলে অভিহিত করেছেন।

তার মৃত্যুতে বহু বিশিষ্ট মানুষ শোক প্রকাশ করেছেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ প্রভু এবং লেখক আমিশ ত্রিপাঠিও টুইটে তাঁর অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন Corona Update in West Bengal: রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ১০০০ পার! মমতার নির্দেশের পরই তড়িঘড়ি বৈঠক স্বাস্থ্য ভবনে