Sachin Pilot: ছত্তীসগঢ় মডেলেই কি সমাধান রাজস্থান অস্বস্তির? অনুগামীদের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক সচিনের
Rajasthan Congress: সূত্রের খবর, এভাবেই রাজস্থানেও অবিলম্বে দলের মধ্যে শান্তি আনার পরিকল্পনা করছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। কারণ, বছরের শেষে এই রাজ্যেও নির্বাচন। তার আগে, দলের সব দুর্বলতা দূর করতে চায় কংগ্রেস।
জয়পুর: বছরের শেষেই ছত্তীসগঢ়ের নির্বাচন। তার আগে টিএস সিং দেও-কে উপ-মুখ্যমন্ত্রী করে আপাতত মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব সামাল দিয়েছে কংগ্রেস। এবার সকলের নজর রাজস্থানের দিকে। ভুপেশ বাঘেলের সঙ্গে টিএস সিং দেও-এর দ্বন্দ্বের মতো একই পরিস্থিতি পশ্চিমী রাজ্যটিতেও। এখানে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে বিবাদমন সচিন পাইলট। শোনা যাচ্ছে, সচিন পাইলটকেও দলে আরও বড় ভূমিকা দেওয়া হতে পারে। সূত্রের খবর, এভাবেই রাজস্থানেও অবিলম্বে দলের মধ্যে শান্তি আনার পরিকল্পনা করছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। কারণ, বছরের শেষে এই রাজ্যেও নির্বাচন। তার আগে, দলের সব দুর্বলতা দূর করতে চায় কংগ্রেস। এর আগে কর্নাটকেও, সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী এবং ডিকে শিবকুমারকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী করে ফাটল বোজানো হয়েছে। তাই, এই পথেই রাজস্থানেও সমাধান সূত্র মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি, দিল্লি থেকে শীর্ষ নেতৃত্বর সঙ্গে কথা বলে রাজস্থানে ফিরে আসার পর তাঁর অনুগামী বিধায়ক এবং সমর্থকদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন সচিন পাইলট। আর তাতে হইচই পড়ে গিয়েছে জয়পুরের রাজনৈতিক মহলে। উচ্ছ্বসিত পাইলট সমর্থকরা। চসলতি সপ্তাহের বুধবার দিল্লিতে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেন রাজস্থানের কংগ্রেস প্রধান গোবিন্দ সিং দোতাসরা। দলীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং রাজ্যের ইনচার্জ এসএস রণধাওয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন তিন। এই সবই রাজস্থান কংগ্রেসে সচিন পাইলটের উত্থানের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। রাজস্থনে সরকার গঠনের প্রায় পরপরই প্রকাশ্যে এসেছিল গেহলট-পাইলট দ্বন্দ্ব। তবে, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর গেহলটের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়েছিলেন পাইলট। গত কয়েক মাস ধরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না গেহলট সরকার বলে, একক প্রচারও চালিয়েছেন তিনি। বারে বারে বিব্রত হতে হয়েছে কংগ্রেসকে। এমনতি, তিনি কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে নতুন দল গড়তে পারেন বলেও গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল।
श्री टी. एस. सिंह देव जी को छत्तीसगढ़ का उप मुख्यमंत्री बनाए जाने पर हार्दिक बधाई एवं शुभकामनाएं।@TS_SinghDeo pic.twitter.com/lSbnD3GJ9j
— Sachin Pilot (@SachinPilot) June 28, 2023
এই অবস্থায়, নির্বাচনের ঠিক আগে শেষ লগ্নে, সম্ভবত পাইলটের দায়িত্ব বাড়ানো হবে। ঠিক যেভাবে, উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন টিএস সিং দেও। উল্লেখ্য, তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর, তাঁকে টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন পাইলট। পাইলটের মতো দলের মধ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন টিএস সিং দেও। ২০১৮ সাল থেকেই ছত্তীসগঢ় কংগ্রেসে টিএস সিং দেও এবং ভূপেশ বাঘেলের দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল। ২০২১-এর অগস্টে, টিএস সিং দেও প্রকাশ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবি জানিয়েছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, কংগ্রেস নেতৃত্ব ছত্তীসগঢ়ে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে বলে, প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাঁকে। অর্থাৎ, আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন বাঘেল, তারপর তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। সেই সময় নিজের শক্তি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বাঘেল। ৭০ কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে ৫৫ জনের সমর্থন ছিল তাঁর দিকে। যার জেরে, সেই সময় কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছিল ভূপেশ বাঘেলই মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকছেন। তবে, নির্বাচনের আগে টিএস সিং দেও-এর শিকে ছিঁড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হতে না পারলেও উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদ পেয়েছেন।
২০২০ সালে রাজস্থানে অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে একই রকম বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন কংগ্রেস। অশোক গেহলট সেই সময়ে তাঁর প্রতি যে রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেস বিধায়কদের সমর্থন আছে, তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব সেই সময় সচিন পাইলটকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তা আজও পূরণ হয়নি। নির্বাচনের আগে, ‘মরণকালে হরিনামের’ মতো সেই প্রতিষশ্রুতি পূরণ করা হবে বলেই শোনা যাচ্ছে।