Sariska Forest Fire: দুধের দাঁত পড়েনি এখনও, সারিস্কার জঙ্গলের আগুন থেকে কী রক্ষা পাবে বাঘিনী ও ছানারা?

Sariska Forest Fire: এসটি-১৭ হিসাবে চিহ্নিত ওই বাঘিনী সদ্যই মা হয়েছে। গত ২৬ মার্চ তাদের জঙ্গলের ভিতরে শেষবার দেখা গিয়েছিল। আগুন লাগার কারণে ওই বাঘিনী ও তাঁর দুই শাবকের কী হবে, তা নিয়ে চিন্তিত বন দফতরের আধিকারিকরা।

Sariska Forest Fire: দুধের দাঁত পড়েনি এখনও, সারিস্কার জঙ্গলের আগুন থেকে কী রক্ষা পাবে বাঘিনী ও ছানারা?
আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 30, 2022 | 8:56 AM

জয়পুর: ভয়ঙ্কর আগুন (Fire) লেগেছে সারিস্কা ব্যাঘ্র প্রকল্পে (Sariska Tiger Reserve)। রবিবার জঙ্গলে লাগা আগুন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে। এর জেরে প্রাণ সংশয় দেখা গিয়েছে জঙ্গলে বসবাসকারী বাঘেদের (Tigers)। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কমপক্ষে তিনটি বাঘ ও দুটি শাবকের প্রাণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। গভীর জঙ্গলের ভিতরে থাকায়, আগুনে ওই বাঘেদের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রবিবারই রাজস্থানের আলওয়ারে অবস্থিত সারিস্কা ব্যাঘ্র প্রকল্পে আগুন লাগে। ইতিমধ্যেই ১০ স্কোয়ার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গিয়েছে, শুষ্ক আবহাওয়া ও শুকনো হাওয়ার কারণেই ঝরা পাতা থেকে আগুন লেগে গিয়েছে। জঙ্গলের এতটাই গভীরে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে যে দমকল বাহিনীও সেখানে আগুন নেভানোর সামগ্রী নিয়ে প্রবেশ করতে পারছে না।

সারিস্কা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বন দফতরের আধিকারিক সুদর্শন শর্মা বলেন, “জঙ্গলের উচু জায়গাতেও আগুন লেগে যাওয়ায় দমকল বাহিনীর সেখানে পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে। বর্তমানে জঙ্গলের ভিতরে প্রবেশ করে এবং হেলিকপ্টার দিয়ে জল ছিটিয়েই আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”

ইতিমধ্যেই রাজস্থান বন দফতর ভারতীয় সেনা বাহিনী ও বায়ুসেনার কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছে। জঙ্গলের আশেপাশের ছয়টি গ্রামকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আগুন বেশি ছড়িয়ে পড়লে ওই গ্রামগুলিকে ফাঁকা করে দেওয়া হবে। রবিবার আগুন লাগার পর একদিনের মধ্যেই তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে বন দফতরের। মঙ্গলবার বিকেলেও সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে জঙ্গলে জল দেওয়া হয়েছে। আগুন নেভানোর জন্য বিকল্প পথ নিয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য়, সারিস্কা ব্যাঘ্র প্রকল্পে বর্তমানে ২৭টি বাঘ রয়েছে। মোট নয়টি জ়োনে ভাগ করা রয়েছে এই জঙ্গলটি। এরমধ্যে দুটি জ়োন সম্পূর্ণ রূপে আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছে।  বনদফতরের কর্মী ও গ্রামবাসী মিলিয়ে প্রায় ২০০ জন আগুন নেভানোর কাজ করছেন। একদিকে পাহাড়ের উচু অংশে আগুন লাগায় যেমন পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে, তেমনই আবার ধোঁয়ার কারণে মৌমাছিরাও আক্রমণ করছে।

তবে সবথেকে বেশি চিন্তা বাড়ছে তিনটি বাঘ ও দুটি শাবককে নিয়েই। এসটি-১৭ হিসাবে চিহ্নিত ওই বাঘিনী সদ্যই মা হয়েছে। গত ২৬ মার্চ তাদের জঙ্গলের ভিতরে শেষবার দেখা গিয়েছিল। আগুন লাগার কারণে ওই বাঘিনী ও তাঁর দুই শাবকের কী হবে, তা নিয়ে চিন্তিত বন দফতরের আধিকারিকরা। এছাড়া এসটি-২০ ও এসটি-১৪ হিসাবে চিহ্নিত দুটি বাঘও রোদকেলা এলাকায় আটকে রয়েছে, সেখানে ইতিমধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।  তবে বাঘদুটি আপাতত সুরক্ষিত রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Old Man In Bank Locker Room : ব্যাঙ্কের লকার রুমে গোটা রাত একা কাটালেন অশীতিপর, তারপর যা হল… 

আরও পড়ুন: Imran Khan: কালাজাদুও কাজ করছে না, গদি বাঁচাতে এবার ‘অন্য চাল’ ইমরানের!