Aksai Chin: আকসাই চিনে মাটির নীচে তৈরি হচ্ছে সুড়ঙ্গ! উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল চিনের ‘গোপন’ কার্যকলাপ
Satellite Image: উত্তর লাদাখের দেপসাং উপত্য়কা থেকে ৬০ কিলোমিটার পূর্বে আকসাই চিনে নদীর পাড় ধরে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার খুব কাছেই এই কাজ করছে চিন।
নয়া দিল্লি: ফের একবার অরুণাচল প্রদেশ(Arunachal Pradesh)-কে নিজের দেশের অংশ বলে দাবি করল চিন (China)। সোমবার চিনের প্রকাশিত নতুন মানচিত্রে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চিন(Aksai Chin)-কে সেই দেশের অংশ বলে দাবি করা হয়। এই নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারতও। এর মধ্যেই সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেল, আকসাই চিন উপত্যকায় ইতিমধ্যেই সুড়ঙ্গ (Tunnel) ও খাদ তৈরি করেছে লাল ফৌজ (PLA)। নতুন সেনা ছাউনি ও সীমান্তে অস্ত্র ভাণ্ডার বানানোর উদ্দেশ্যেই এই সুড়ঙ্গ তৈরি করছে চিন, এমনটাই দাবি। চিনের এই গোপন কার্যকলাপ ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে।
জানা গিয়েছে, উত্তর লাদাখের দেপসাং উপত্য়কা থেকে ৬০ কিলোমিটার পূর্বে আকসাই চিনে নদীর পাড় ধরে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার খুব কাছেই এই কাজ করছে চিন। ম্যাক্সার স্যাটেলাইট চিত্রেও ধরা পড়েছে চিনের খননকাজ। দেখা গিয়েছে, নদীর দুই পাড়েই চিন কমপক্ষে ১১টি সুড়ঙ্গ বা খাত তৈরি করেছে পাথর কেটে। বিগত কয়েক মাসেই এই নির্মাণকাজ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয় সেনার এয়ারস্ট্রাইক ও কামানের গোলা থেকে নিজেদের সৈন্য ও অস্ত্রভাণ্ডারকে বাঁচাতেই চিন সুড়ঙ্গ তৈরি করছে। ওই সুড়ঙ্গগুলিতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র মজুত করে রাখার পরিকল্পনা করছে লাল ফৌজ, এমনটাই অনুমান।
উপগ্রহ চিত্রের বিশেষজ্ঞ ডেমিয়েন সাইমন বলেন, “আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে মাটির নীচে সুড়ঙ্গ তৈরি করে ভারতীয় সেনাকে প্রতিহত করতে চাইছে চিন। আকসাই চিনে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারবেস থাকায় এ দেশের সেনাবাহিনী যে সুবিধাগুলি পায়, তা রুখতেই চিনের এই পদক্ষেপ।”
প্রসঙ্গত, লাদাখের একাধিক জায়গায় ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারবেস রয়েছে। শ্রীনগর ও অবন্তিপুরা বায়ুসেনার ফাইটার বেস হলেও, নওমাতেও এয়ার ল্য়ান্ডি গ্রাউন্ডেও রানওয়ে বাড়ানোর চেষ্টা করছে সেনাবাহিনী। প্যাংগং হ্রদের কাছেই ১৩ হাজার ৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই রানওয়ে আয়তনে বৃদ্ধি করা গেলে, এখানেই ভারতীয় বায়ুসেনা যুদ্ধবিমান রাখতে পারবে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে এই অঞ্চলের দূরত্ব মাত্র ৫০ কিলোমিটার। ফলে পরবর্তীকালে চিনের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধলে, দ্রুত সীমান্তে পৌঁছে যাবে ভারতীয় সেনার বিপুল বাহিনী।