Seema Haider: বলিউডের ‘আইডিয়াল কাপল’ নয়, পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসা সীমা রোজ সুখটান দিত বিড়িতে, তুমুল ঝামেলা সচিনের সঙ্গে!

Seema-Sachin Love Story: পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসা সীমা রোজ বিড়ি খান। কিন্তু সচিনের এই অভ্যাস না-পসন্দ। সেই কারণেই তাঁর প্রেমিকাকে বার বার বারণ করতেন। এই নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার বচসাও হত।

Seema Haider: বলিউডের 'আইডিয়াল কাপল' নয়, পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসা সীমা রোজ সুখটান দিত বিড়িতে, তুমুল ঝামেলা সচিনের সঙ্গে!
সীমা ও সচিন।Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 22, 2023 | 2:20 PM

নয়া দিল্লি: প্রেম মানে না কাটাতাঁরের বেড়া। সীমা হায়দার (Seema Haider) ও সচিন মীনার (Sachin Meena) প্রেম কাহিনি অন্তত এই কথাই বলছে। তাঁদের প্রেম কাহিনি বলিউডের সিনেমাকেও হার মানাবে। প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসেছেন সীমা। একদিকে যেখানে তাঁদের প্রেমের কাহিনির প্রশংসা করছেন, তেমনই আবার সীমার আসল পরিচয় নিয়েও হাজারো প্রশ্ন উঠেছে। সন্দেহ, প্রেমের গল্প আসলে ভাঁওতা। সীমা পাকিস্তানি গুপ্তচর (Pakistan Spy)। সীমার পরিচয় জানতে তাঁকে জেরা করছে উত্তর প্রদেশ এটিএস (Uttar Pradesh ATS)। এরই মধ্যে জানা গেল, সীমা-সচিনের প্রেমের নতুন কাহিনি। জানা গেল, বাকি প্রেমিক-প্রেমিকার মতো সীমা-সচিনের মধ্যেও নিত্যদিনই ঝগড়া হত। তবে সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে নয়, বরং বিড়ি নিয়েই ঝগড়া হত দুইজনের মধ্যে।

জানা গিয়েছে, পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসা সীমা রোজ বিড়ি খান। কিন্তু সচিনের এই অভ্যাস না-পসন্দ। সেই কারণেই তাঁর প্রেমিকাকে বার বার বারণ করতেন। এই নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার বচসাও হত। রাবুপুরায় আম্বেদকর কলোনিতে যে বাড়িতে সচিন-সীমা ভাড়া থাকতেন, সেই বাড়ির মালিক গিরিরাজও জানিয়েছেন, সীমা প্রায় রোজই বিড়ি খেতেন। সচিন বারংবার বাধা দিলেও সীমা সেই কথা শুনতেন না। এই নিয়ে প্রায়দিনই ঝগড়া হত। এমনকী, একদিন তাঁদের মধ্য়ে এমন বচসা হয় যে বাড়ির মালিক সচিনকে ডেকে পাঠান এবং ঝগড়া করতে বারণ করেন।

মাকে ‘দিদি’ বলত সীমার চার সন্তান-

কাটাতাঁরের ওপার থেকে সীমা একা নয়, তাঁর চার সন্তানকেও ভারতে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সীমার সন্তানরা তাঁকে মা নয়, দিদি বলে ডাকত। এদিকে, সচিনকে তাঁরা পাপা বলেই ডাকত। বাড়ি মালিক জানান, তাঁর সন্তানদের সঙ্গে সীমার ছেলে-মেয়েরা খেলত। তখনই তিনি জানতে পারেন যে সীমাকে তাঁর সন্তানরা দিদি বলে ডাকে। খুব তাড়াতাড়ি স্থানীয় ভাষা শিখে নেওয়ায় বাসিন্দাদের সঙ্গে সহজেই মিশে গিয়েছিল সীমা, এমনটাও জানিয়েছেন বাড়ির মালিক।