Aryan Khan Drug Case: মাদককাণ্ডে ইচ্ছাকৃতভাবেই ফাঁসানো হয়েছিল আরিয়ানকে? সিটের স্ক্যানারে NCB-র ৮ অফিসার
NCB Report: সিটের তরফে সম্প্রতিই দিল্লিতে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। এনসিবি সূত্রের খবর, সিট এনসিবির তদন্তে একাধিক বেনিয়ম খুঁজে পেয়েছে।
মুম্বই: গত বছর অক্টোবর মাসেই তোলপাড় হয়েছিল বলিউড। মাদক কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল বলিউডের বাদশা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের। প্রমোদতরীতে মাদক সহ আটক করা হয়েছিল তাঁকে। পরে দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত চালায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি। নানা জলঘোলাও হয় তদন্ত নিয়ে। অবশেষে আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে মামদক মামলায় উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ পেশ করতে না পারায়, আদালতের তরফে মুক্তি দেওয়া হয় আরিয়ান খানকে। সেই মামলাতেই এবার সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। এনসিবির একটি অন্তর্বর্তী রিপোর্টেই আরিয়ান খানের মামলার সঙ্গে যুক্ত সাত অফিসারের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হল।
অক্টোবর মাসে আরিয়ান খানের গ্রেফতারির পর থেকেই এনসিবির তদন্ত নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। দীর্ঘ আট মাস ধরে তদন্ত-বিতর্ক চলার পর চলতি বছরের মে মাসে আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়। এনসিবির তরফেও স্বীকার করে নেওয়া হয় যে আরিয়ান খান সহ গ্রেফতার করা ৬ জনের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। এবার এনসিবির অন্তর্বর্তী রিপোর্টেও এবার তদন্তে বেনিয়মের কথা উল্লেখ করা হল। জানা গিয়েছে, তদন্তকারী সংস্থার আট অফিসার, যারা আরিয়ান খানের মাদক মামলায় যুক্ত ছিলেন, তাদের মধ্যে সাতজনের আচরণেই অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা গিয়েছে।
এনসিবির তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই সংস্থার তরফে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। সিটের তরফে সম্প্রতিই দিল্লিতে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। এনসিবি সূত্রের খবর, সিট এনসিবির তদন্তে একাধিক বেনিয়ম খুঁজে পেয়েছে। আধিকারিকদের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কর্ডেলিয়া প্রমোদতরী থেকে মাদক উদ্ধার মামলায় মোট ৬৫ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল। এরমধ্যে অনেকেই পরবর্তী সময়ে নিজেদের বয়ান পরিবর্তন করেছিলেন। একাধিক অন্যান্য মামলার সঙ্গেও মাদক মামলার তদন্ত মিলেমিশে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। সিটের স্ক্যানারে ইতিমধ্যেই এনসিবির আটজন তদন্তকারী অফিসার রয়েছেন। আরিয়ান খানের গ্রেফতারি ও তদন্তে তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরিয়ান খান ও অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জামিন দেওয়ার জন্য তোলাবাজির যে অভিযোগ উঠেছিল, তাও খতিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সূত্রের খবর, মাদক মামলায় অভিযুক্ত আরিয়ান খান সহ বেশ কয়েকজনকে ইচ্ছাকৃতভাবে নিশানা বানানো হয়েছিল বলেই মনে করছে সিট। যে আটজন আধিকারিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। এনসিবির সঙ্গে যুক্ত নন, অথচ মাদক মামলার তদন্তে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন, এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।