Joshimath Sinkling: প্রত্যেক বছর আড়াই ইঞ্চি করে বসে যাচ্ছে মাটি! জোশীমঠের ফাটল শুরু কবে থেকে, জানা গেল সমীক্ষায়
Uttarakhand Crisis: ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব রিমোট সেন্সিংয়ের প্রকাশিত তথ্যে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২২ সালের মার্চ মাস অবধি গোটা জোশীমঠেরই মাটি ধীরে ধীরে বসে গিয়েছে।
জোশীমঠ: বিপদের বার্তা মিলেছিল অনেক আগেই, কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি প্রশাসন। আর সেই গাফিলতির ফলই ভুগছেন জোশীমঠের (Joshimath) ৬০০-রও বেশি পরিবার। বাড়িতে ফাটল ধরায় রাতারাতি ঘরছাড়া হতে হয়েছে তাদের। প্রতিবাদে পথে নেমেছেন জোশীমঠের বাসিন্দারা। সরকারের তরফে পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হলেও, বিক্ষোভ থামাননি সাধারণ মানুষ। এরই মধ্যে একটি গবেষণাপত্রে জোশীমঠের মাটি ধসে যাওয়া নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য় জানা গেল। ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব রিমোট সেন্সিংয়ের (Indian Institute of Remote Sensing) তরফে দুই বছর ধরে করা একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জোশীমঠ প্রত্যেক বছর ৬.৫ সেন্টিমিটার বা ২.৫ ইঞ্চি করে মাটিতে বসে গিয়েছে। বিগত তিন বছর ধরেই ভূমিধসের প্রক্রিয়া চলেছে বলেও জানানো হয়েছে ওই গবেষণাপত্রে।
জানা গিয়েছে, দেহরাদুনে অবস্থিত এই ইন্সটিটিউট উপগ্রহ চিত্র বা স্যাটেলাইট চিত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ভূমিধসের বিষয়টি চিহ্নিত করেছে। ছবিতে দেখা গিয়েছে, জোশীমঠের নীচে টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষ হামেশাই হচ্ছে, ফলে এই অঞ্চলটি অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ।
বিগত কয়েক বছর ধরেই জোশীমঠে মাটি বসে যাওয়া ও বাড়িতে ভাঙন ধরলেও, চলতি বছরের শুরুতেই সঙ্কট চরমে পৌঁছয়। ৬০০-রও বেশি বাড়িতে ফাটল ধরে যায়, ভেঙে পড়ে আস্ত একটি মন্দির। শুধু বাড়ি নয়, একই হাল রাস্তাগুলিরও। সেখানেও রাস্তাজুড়ে লম্বা ফাটল ধরেছে। বসে যাচ্ছে মাটি। জোশীমঠের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশনের তপোবন প্রকল্পের কারণেই গোটা এলাকায় ফাটল ধরেছে।
ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব রিমোট সেন্সিংয়ের প্রকাশিত তথ্যে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২২ সালের মার্চ মাস অবধি গোটা জোশীমঠেরই মাটি ধীরে ধীরে বসে গিয়েছে। শুধুমাত্র জোশীমঠ নয়, আশেপাশের এলাকাগুলিতেও মাটি বসে যাচ্ছে। ৯০ কিলোমিটার দূরে কর্ণপ্রয়াগ, আউলিতেও একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছে।