Sukanya Mondal: বান্ধবীকে মিস করছেন, কথা বলতে চেয়ে আদালতে যাচ্ছেন সুকন্যা
Cow Smuggling Case: সুপতার হলেন কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের ছোটবেলার বান্ধবী। কিন্তু সুকন্য়া এখন ইডি হেফাজতে থাকার ফলে উভয়ের মধ্যে কোনও কথাবার্তা হচ্ছে না। সুকন্যাও তাঁকে মিস করছেন।
নয়া দিল্লি: গরু পাচার (Cow Smuggling Case) মামলায় দিল্লিতে ইডির (Enforcement Directorate) অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের সময় কথায় অসঙ্গতি। তারপরই গ্রেফতার হয়েছেন কেষ্ট-কন্যা সুকন্য়া মণ্ডল (Sukanya Mondal)। সুকন্যার গ্রেফতারির পর তাঁকে জামাকাপড় দিতে গিয়েছিলেন বান্ধবী সুপতা। সুকন্যাকে জামাকাপড় দিয়ে ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে কেঁদে ভাসিয়েছিলেন সুপতা। বলেছিলেন, ‘আমাকেও গ্রেফতার করে নিক। তাহলে অন্তত একসঙ্গে থাকতে পারব।’ এই সুপতার হলেন কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের ছোটবেলার বান্ধবী। কিন্তু সুকন্য়া এখন ইডি হেফাজতে থাকার ফলে উভয়ের মধ্যে কোনও কথাবার্তা হচ্ছে না। সুকন্যাও তাঁকে মিস করছেন। এমন অবস্থায় তাই বান্ধবীর সঙ্গে যাতে অন্তত ফোনে কথা বলার সুযোগ পান সুকন্যা, তার জন্য আদালতে আবেদন করতে চলেছেন সুকন্যা মণ্ডলের আইনজীবী।
শনিবার সুকন্যার সঙ্গে দেখা করে দিল্লির প্রবর্তন ভবনে গিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী অমিত কুমার। আদালতের নির্দেশ মতো আধ ঘণ্টা কথা হয় তাঁদের মধ্যে। সেখান থেকে বেরিয়ে সুকন্যার বান্ধবীর বিষয়ে তাঁর আইনজীবী বলেন, ‘উনি সুকন্যার খুব ভাল বন্ধু। ছোটবেলার বন্ধু। উনি ক্যান্সারের রোগী। উভয়েই একে অপরকে ভীষণ সাপোর্ট করেন। সুকন্যা তাঁকে ভীষণ মিস করছেন। যেহেতু এখানে কথা বলার অনুমতি নেই, তাই আমরা আদালতে কাল আবেদন করব। যদি আদালত ফোনে কথা বলার অনুমতি দেয়, তাহলে কথা বলতে পারবেন তাঁরা।‘
প্রসঙ্গত, ছোটবেলার বান্ধবীর গ্রেফতারির পর সুতপা কাঁদতে কাঁদতে সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছিলেন, ‘আর কিচ্ছু করার নেই। এবার ও একা হয়ে গেল আর আমিও।’ অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচিতি সুতপার। এমনকী সুতপার শারীরিক অসুস্থতা সংক্রান্ত চিকিৎসার যাবতীয় খরচও বহন করতেন সুকন্যার বাবার অনুব্রত মণ্ডল। এখন যেহেতু সুকন্যা ইডি হেফাজতে রয়েছেন, তাই আদালতের অনুমতি ছাড়া বাইরের কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না। সেই কারণেই যাতে অন্তত ফোনে কথা বলার অনুমতি মেলে, তার জন্য আদালতে আবেদন করতে চলেছেন সুকন্যার আইনজীবী। সেই কথাও এদিন কেষ্টকন্যার সঙ্গে দেখা করে এসে নিজেই জানালেন সুকন্যার আইনজীবী অমিত কুমার।