CJI DY Chandrachud: সুপ্রিম কোর্ট ‘তারিখ পে তারিখ’ আদালত হতে পারে না: প্রধান বিচারপতি

CJI DY Chandrachud: সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের মামলা স্থগিত রাখার অনুরোধের সংখ্য়া ক্রমেই বাড়ছে। এইভাবে চললে ফলে শীর্ষ আদালতও 'তারিখ পে তারিখ' আদালতে পরিণত হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি। অর্থাৎ, সুপ্রিম কোর্টেও ন্যায়বিচার পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে সাধারণ মানুষকে। ফলে, সুপ্রিম কোর্টের উফর মানুষের আস্থা চলে যাবে।

CJI DY Chandrachud: সুপ্রিম কোর্ট 'তারিখ পে তারিখ' আদালত হতে পারে না: প্রধান বিচারপতি
দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে সতর্ক করলেন প্রধান বিচারপতিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2023 | 1:08 PM

নয়া দিল্লি: ‘দামিনী’ ফিল্মে সানি দেওলের ‘তারিখ পে তারিখ…তারিখ পে তারিখ’ সংলাপটি আজ কিংবদন্তি। ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা প্রসঙ্গে এই সংলাপ ছিল সানি দেওলের মুখে। এবার এই বিখ্যাত সংলাপের উল্লেখ শোনা গেল ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের কণ্ঠে। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) তিনি জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের মামলা স্থগিত রাখার অনুরোধের সংখ্য়া ক্রমেই বাড়ছে। এইভাবে চললে ফলে শীর্ষ আদালতও ‘তারিখ পে তারিখ’ আদালতে পরিণত হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি। অর্থাৎ, সুপ্রিম কোর্টেও ন্যায়বিচার পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে সাধারণ মানুষকে। ফলে, সুপ্রিম কোর্টের উফর মানুষের আস্থা চলে যাবে।

প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে মাত্র একমাসেই মোট ৩,৬৮৮টি মামলা স্থগিত রাখার অনুরোধ এসেছে আইনজীবীদের কাছ থেকে। তিনি বলেছেন, “৩ নভেম্বরের জন্য, আমাদের কাছে ১৭৮টি মামলার শুনানি মুলতবি রাখার অনুরোধ রয়েছে। অক্টোবর থেকে বিভিন্ন দিনে গড়ে ১৫০টির বেশি মামলা মুলতবি রাখার স্লিপ জমা পড়েছে আমাদের কাছে। সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এইভাবে মোট ৩,৬৮৮ টি স্লিপ জমা পড়েছিল। এর ফলে মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ হচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, একদিকে আইনজীবীরা প্রতিদিনই জরুরী তালিকাভুক্তির জন্য বিষয়গুলো উল্লেখ করলেও অন্যদিকে মামলা তালিকাভুক্ত হলে মুলতবি চান। এর ফলে মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পতি করার উদ্দেশ্য ব্যর্থ হচ্ছে। তিনি বলেন, “সেপ্টেম্বর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ৫৮টি করে মামলার উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়গুলি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু, অন্যদিকে আবার শুনানি স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। একদিকে মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করা হয়, কিন্তু, অন্যদিকে মামলা স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হয়। এটা (সুপ্রিম কোর্ট) একটা তারিখ পে তারিখ আদালত হতে পারে না। এতে আদালতের উপর নাগরিকরা আস্থাকে হারাবেন। দেশে আমাদের আদালতের খারাপ ভাবমূর্তি তৈরি হবে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা বজায় রাখাটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।”

তবে, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন এবং সুপ্রিম কোর্ট অ্যাডভোকেটস-অন-রেকর্ড অ্যাসোসিয়েশনের তৎপরতায়, মামলা দায়ের এবং শুনানির জন্য তালিকাভুক্তির সময় অনেকটাই কমেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেছেন, “আমি দেখেছি ফাইলিং থেকে তালিকাভূক্তির সময় অনেকটাই কমেছে। আমরা সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন এবং সুপ্রিম কোর্ট অ্যাডভোকেটস-অন-রেকর্ড অ্যাসোসিয়েশনকে ছাড়া এটা সম্ভব হত না।”