Supreme Court: IIT থেকে যাদবপুর, ভয় ধরাচ্ছে পড়ুয়া আত্মহত্যার হার! ‘ব্যবস্থা’ নিতে টাস্ক ফোর্স গঠন সুপ্রিম কোর্টের
Supreme Court: এরপর শীর্ষ আদালত দেশজুড়ে পডুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ও আত্মহত্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দশজন সদস্যের টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, কোন কারণে দেশের পড়ুয়ারা আত্মহত্যার পথে নামছেন, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন বিচারপতিরা।

নয়াদিল্লি: কখনও IIT, কখনও বা রাজ্যের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাদবপুর। দেশজুড়ে প্রায় প্রতিটি নামজাদা শিক্ষা প্রাঙ্গনেই মাথা চাড়া দিচ্ছে পড়ুয়া আত্মঘাতীর ঘটনা। এমনকি, পরিস্থিতির গভীরতা এতটাই যে দেশে কৃষকদের আত্মহত্যার পরিসংখ্যানকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার সংখ্য়া। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ শীর্ষ আদালতের।
এককালে দেশের অন্দরে এই কৃষক আত্মহত্য়া নিয়ে পারদ চড়েছিল রাজনৈতিক মহলে। এখন তা কিছুটা কমলেও একেবারে নিয়ন্ত্রণে নেই বলে দাবি একাংশের। তবে সেই কৃষক আত্মহত্যার পরিসংখ্য়ানকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে পড়ুয়া আত্মহত্যার সংখ্যা। ২০২১ সালের একটি সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই এক বছরে আত্মঘাতী হয়েছে ১৩ হাজার পডু়য়া। যা গত এক দশকের নিরিখে দ্বিগুণ।
মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্টে দুই IIT পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর মামলা চলাকালীন উঠে এল এই তথ্য-পরিসংখ্যান। বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা ও আর মহাদেবানের ডিভিশন বেঞ্চেই চলছিল এই মামলাটি। তখনই উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেল, বিচারপতিদের।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘সরকারি সূত্র দেখে মনে হচ্ছে, পড়ুয়া আত্মঘাতীর সংখ্য়া দেশে এখন কৃষকদের আত্মহত্যার সংখ্য়াকে ছাপিয়ে গিয়েছে।’ এদিন আদালতের অন্দরে IIT-সহ দেশের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের আত্মঘাতী হওয়ার কথা তুলে ধরেন আইনজীবীরাও। উঠে আসে, সম্প্রতি ওড়িশার নামজাদা প্রতিষ্ঠানে ঘটা নেপালি পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর কথাও।
এরপর শীর্ষ আদালত দেশজুড়ে পডুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ও আত্মহত্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দশজন সদস্যের টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, কোন কারণে দেশের পড়ুয়ারা আত্মহত্যার পথে নামছেন, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। উল্লেখ্য, এই সদ্য গঠিত টাস্ক ফোর্সকে বাড়তি কিছু ক্ষমতা দেওয়ার পাশাপাশি, আগামী চার মাসের মধ্যেই তদন্তের একটি অন্তর্বর্তী রিপোর্ট ও আট মাসের মধ্য়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।





