Supreme Court: ‘কে প্রভাবশালী ভাবিত নয় আদালত’, উপাচার্য মামলায় রাজ্যপালকে পার্টি করার ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

Supreme Court: শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের সাফ বক্তব্য, আদালত কেবল চায় প্রতিষ্ঠানের সঠিক উপাচার্য নিয়োগ হোক। এবং গোটাটাই হোক একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে।

Supreme Court:  'কে প্রভাবশালী ভাবিত নয় আদালত', উপাচার্য মামলায় রাজ্যপালকে পার্টি করার 'সুপ্রিম' নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্যপালImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2023 | 12:44 PM

নয়া দিল্লি: উপাচার্য নিয়োগ মামলায় রাজ্যপাল তথা আচার্যকে পার্টি করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। উপাচার্য নিয়োগ বিতর্কে সব পক্ষকেই পার্টি করার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি সূর্যকান্তর বেঞ্চর এই নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তী শুনানি ২ সপ্তাহ পর। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, এই সময়ের মধ্যেই দু’পক্ষকে আলোচনায় বসতে হবে। কোনও সমাধানসূত্র বার করা যায় কিনা, তা দেখতে হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

বলাইবাহুল্য, উপাচার্য নিয়োগ মামলায় সোমবার বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি সূর্যকান্তের বেঞ্চ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, কোনও প্রতিষ্ঠান রেগুলার ভাইস চ্যান্সেলর ছাড়া কাজ করতে পারে না। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে রাজ্য সরকার ও আচার্যকে আলোচনায় বসা উচিত। শীর্ষ আদালত এটাও স্পষ্ট করে দেয়, এক্ষেত্রে কে বেশি প্রভাবশালী, তা নিয়ে একেবারেই ভাবিত নয় বিচারব্যবস্থা। অর্থাৎ মূল বিতর্ক যা নিয়ে, আচার্য না রাজ্য সরকার, কে উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবে, তা নিয়ে ভাবিত নয় আদালত। শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের সাফ বক্তব্য, আদালত কেবল চায় প্রতিষ্ঠানের সঠিক উপাচার্য নিয়োগ হোক। এবং গোটাটাই হোক একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে।

এদিনের শুনানিতে রাজ্যপাল অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোসকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যখন বিতর্ক দানা বাঁধছে, তখন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী কেন আগেই প্রস্তাবিত তালিকা পাঠাচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সূর্যকান্ত।

তার ভিত্তিতে রাজ্যের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ২০২৩ সালে রাজ্যের তরফে একটি নতুন বিল পাশ করা হয়েছে। সেখানে নিয়োগের প্রক্রিয়া কীভাবে হবে, তা ধাপে ধাপে উল্লেখ করে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বক্তব্য, আচার্য সেই নিয়ম না মেনেই কাজ করছেন। উল্লেখ্য, এই বিল এখনও রাজ্যপালের কাছেই রয়েছে। সেটিতে এখনও সই করেননি রাজ্যপাল।

এরপর শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, কোনও প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে এক সঙ্গে বসে কথা বলে কাজ করুক। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২ সপ্তাহ পর।