Sandeshkhali: হাইকোর্টে যান, সন্দেশখালি সংক্রান্ত সুকান্তর আর্জি ফিরিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
Sukanta Majumdar: বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের আর্জি শুক্রবার ওঠে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী ও বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তালের বেঞ্চে। যে অভিযোগটি তোলা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে জনস্বার্থ মামলা কীভাবে গ্রহণ করা যাবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। সুকান্ত মজুমদারের হয়ে এদি সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত ছিলেন অভিজ্ঞ আইনজীবী মাধবী দিভান ও অর্চনা পাঠক দাভে।
নয়া দিল্লি: সন্দেশখালির ইস্যুতে তপ্ত বাংলা তথা গোটা দেশের রাজনীতি। এসবের মধ্যেই এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এক নাবালিকা নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরকারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আর্জি জানান সুকান্ত। এই নিয়ে শীর্ষ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলাও করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কিন্তু সেই আর্জি ফিরিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের আর্জি শুক্রবার ওঠে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী ও বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তালের বেঞ্চে। যে অভিযোগটি তোলা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে জনস্বার্থ মামলা কীভাবে গ্রহণ করা যাবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। সুকান্ত মজুমদারের হয়ে এদি সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত ছিলেন অভিজ্ঞ আইনজীবী মাধবী দিভান ও অর্চনা পাঠক দাভে। বিচারপতি ত্রিবেদী ও বিচারপতি মিত্তালের বেঞ্চ সুকান্ত আইনজীবীদের উদ্দেশে জানান, ‘আপনাদের অভিযোগ, নির্যাতিতার পরিচয় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। এই মামলা শোনার জন্য হাইকোর্ট বেশি ভাল জায়গা।’
এদিন আদালতে সুকান্তর আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের ২০১৯ সালের এক রায়ের কথা তুলে ধরেন। যেখানে বলা হয়েছিল নির্যাতিতার পরিচয় জানা যেতে পারে এমন কোনও নাম বা কোনও তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। আইনজীবী মাধবী দিভান সুপ্রিম কোর্টে এই যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করেন যে এটি কোনও একটি ঘটনা নয়, এর সঙ্গে বৃহত্তর আঙ্গিক জড়িয়ে রয়েছে… তাই এটিকে জনস্বার্থ মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হোক। তাঁর যুক্তি, ‘এই ধরনের ঘটনা যে কোনও জায়গায় ঘটতে পারে। তাই আদালতের থেকে একটি গাইডলাইন তৈরি করে দেওয়া দরকার।’ যদিও সেই যুক্তিতে মান্যতা দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট এবং প্রয়োজন বোধে এই মামলাটি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।