Farmers Protest: ‘আন্দোলনের অধিকার থাকলেও পথ আটকাতে পারেন না’, ‘সুপ্রিম’ পর্যবেক্ষণ

Supreme Court on Farmers Protest: শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, "শেষ অবধি কোনও একটি সমাধান সূত্রে পৌঁছতেই হবে। আদালতে মামলা চললেও আমরা আন্দোলন করার অধিকারের বিরোধী নই, তবে এভাবে দীর্ঘ সময় ধরে পথ আটকে আন্দোলন চলতে পারে না।"

Farmers Protest: 'আন্দোলনের অধিকার থাকলেও পথ আটকাতে পারেন না', 'সুপ্রিম' পর্যবেক্ষণ
জাতপাত নিয়ে কী বলছে সুপ্রিম কোর্ট? ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 21, 2021 | 2:07 PM

নয়া দিল্লি: আন্দোলন করার অধিকার থাকলেও অনির্দিষ্টকাল ধরে পথ আটকে আন্দোলন চালাতে পারে না কৃষকরা, বৃহস্পতিবার এ কথা সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। কৃষি আইন (Farm laws) নিয়ে আদালতে শুনানি চলার পরও পথ অবরোধ করে আন্দোলন করা আদৌই বৈধ্য কিনা, তা নিয়ে গতমাসেই প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এ দিন সেই মামলার শুনানিতেই শীর্ষ আদালত এই পর্যবেক্ষণ রাখে।

দিল্লির তিন সীমান্ত ও অন্যান্য জায়গা থেকে আন্দোলনকারী কৃষকদের সরানোর আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতে যে পিটিশন বা আর্জি দাখিল করা হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতেই এ দিন  বিচারপতি এসকে কৌলের বেঞ্চ কৃষক সংগঠনগুলিকে তিন সপ্তাহের সময় দেয় তাদের জবাব দাখিল করার জন্য। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৭ ডিসেম্বর।

গত বছরের নভেম্বর মাসের শেষ ভাগ থেকে তিন কৃষি আইন(Farm Laws)-র বিরোধিতা করে দিল্লির তিন সীমান্ত- সিংঘু, টিকরি ও গাজিপুর সীমান্ত দখল করে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করে পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা। প্রায় ১০ মাস কেটে যাওয়ার পর আন্দোলনের ব্যপ্তি কিছুটা কমলেও এখনও সীমান্ত খালি করেনি আন্দোলনকারী কৃষকরা। এরফলে নিত্যদিন যাতায়াতের জন্য দিল্লি, নয়ডা, হরিয়ানাবাসীদের যে দীর্ঘ যানজটের মুখে পড়তে হচ্ছে।

গত মার্চ মাসেই সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বিপণন পেশার সঙ্গে জড়িত নয়ডার বাসিন্দা মনিকা আগরওয়াল। রিট পিটিশনে জানান, তিনি  একজন একক অভিভাবক (সিঙ্গেল প্যারেন্ট) এবং প্রায়সময়ই পেশাগত কারণে বা স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে তাঁদের দিল্লি যেতে হয়। সীমান্তে বিপুল যানজটের কারণে বর্তমানে দিল্লি যাওয়া তাঁদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ মাত্র ২০ মিনিটের যাত্রাপথ অতিক্রম করতেই কমপক্ষে ২ ঘণ্টা সময় লাগছে।

এ দিন সেই মামলারই শুনানিতে শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, “শেষ অবধি কোনও একটি সমাধান সূত্রে পৌঁছতেই হবে। আদালতে মামলা চললেও আমরা আন্দোলন করার অধিকারের বিরোধী নই, তবে এভাবে দীর্ঘ সময় ধরে পথ আটকে আন্দোলন চলতে পারে না।”

আন্দোলনকারী কৃষকদের উদ্দেশ্যে অপর বিচারপতি এমএম সুন্দ্রেশ বলেন, “আপনাদের যেকোনও ধরনের আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে কিন্তু এভাবে পথ আটকে রাখা যায় না। সাধারণ মানুষের অধিকার রয়েছে পথ দিয়ে যাতায়াত করার, সুতরাং পথ আটকানো যায় না।”

মামলার প্রথম শুনানির সময়ই আবেদনকারী শীর্ষ আদালতকে জানান, এর আগে পথ অবরোধ সম্পর্কিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করেছে আদালত, কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা বাস্তবায়নের কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। আবেদনের শুনে শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছিল, এটি স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতা। সম্প্রতিই হরিয়ানা সরকারের তরফে একটি হলফনামা জমা দিয়ে জানানো হয়েছে যে, তারা আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে পথ অবরোধ প্রত্যাহার করার যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।