Manipur: ‘দেশের সমস্ত মেয়েদের রক্ষা করছেন নাকি কাউকে রক্ষা করতে পারছেন না?’, মণিপুর প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
Supreme Court: কেন্দ্রের প্রতি প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন, "১৪ দিন ধরে পুলিশ কী করছিল?" ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি (HPC) গড়ারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
নয়া দিল্লি: মণিপুরে (Manipur) দুই মহিলার ভাইরাল ভিডিয়োর ঘটনাটি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছেছে। কেন্দ্র ও মণিপুর সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন দুই নির্যাতিতা। সেই মামলার প্রেক্ষিতে এবার কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। সম্প্রতি ঘটনার তদন্তভার CBI-কে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন, “১৪ দিন ধরে পুলিশ কী করছিল?” ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি (HPC) গড়ারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি (CJI)।
দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর ঘটনায় একাধিক এফআইআর দায়ের হয়েছে। সেই সমস্ত এফআইআর-এর বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ এই ঘটনায় মোট কতগুলি এফআইআর দায়ের হয়েছে, কারা এফআইআর দায়ের করেছেন, সে ব্যাপারে এদিন কেন্দ্রের তরফে অ্যার্টনি জেনারেল আর বেঙ্কটারামানির কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট জানতে চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড়। পাশাপাশি এই ঘটনায় পুলিশ কী পদক্ষেপ করেছে, সে ব্যাপারে জানতে চেয়ে সিজেআই-এর প্রশ্ন, “৬০০০ এফআইআর-এর বিস্তারিত রিপোর্ট, কতগুলি জিরো এফআইআর হয়েছে, কতগুলি মামলা বিচার বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে, কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, কতজনকে জেল হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, কতজন এই যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত এবং কী আইনি সহায়তা করা হয়েছে, কতজনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে, সে সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানতে চাই।”
যদিও মণিপুরে দুই মহিলাকে যৌন নির্যাতনের যে ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, সেটা কোনও পৃথক ঘটনা নয়, সারা দেশে মহিলারা এরকম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বলে রিপোর্ট পেশ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান ও ছত্তীসগঢ়ের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সেই রিপোর্ট মেনে নিয়ে অ্যার্টনি জেনারেলকে পাল্টা প্রধান বিচারপতি বলেন, “মণিপুরে যেটা ঘটেছে, দেশের অন্য জায়গাতেও একই ধরনের অপরাধ ঘটছে বলে আপনি অজুহাত দিতে পারবেন না। প্রশ্ন হল, আমরা মণিপুরের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করব? দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের মতো ঘটনা এটা নয়। এটা সম্পূর্ণ পৃথক ঘটনা। হিংসা থেকে এই ঘটনা করা হয়েছে।” কেন্দ্রের প্রতি প্রধান বিচারপতির আরও প্রশ্ন, “স্পষ্ট করে জানান, দেশের সমস্ত মেয়েদের রক্ষা করছেন নাকি কাউকে রক্ষা করতে পারছেন না?”
যদিও এই মামলায় রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক এবং সিবিআই তদন্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যার্টনি জেনারেল আর বেঙ্কটারামানি। এর পাল্টা মামলাকারীর তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বলের দাবি, সিবিআইয়ের অধীনে এই ঘটনার তদন্ত নয়, অন্য রাজ্যে তদন্ত করা হোক। মণিপুর পুলিশ অভিযুক্তদের সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এরপরই এই ঘটনার তদন্তে সিট ও HPC গড়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি নির্যাতিতাদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন সহ নিরাপত্তার ব্যাপারে সবরকম পদক্ষেপ করার ব্যাপারে কেন্দ্র ও মণিপুর সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।