Same Gender Marriage: সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় ‘পরস্পরবিরোধী’, দায়ের হল রিভিউ পিটিশন
পিটিশনে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ‘সেল্ফ কন্ট্রাডিক্টরি (পরস্পরবিরোধী) এবং ম্যানিফেস্টলি আনজাস্ট’ বলা অভিহিত করা হয়েছে। সেই পিটিশনে লেখা হয়েছে, “সমকামী সম্প্রদায়কে যে বৈষম্যের স্বীকার হতে হয়, সে কথা স্বীকার করা হয়েছে রায়ে। কিন্তু বৈষম্যের কারণকে দূর করা হয়নি। আইনসভা সমকামীদের সমানাধিকারকে অস্বীকার করে মানুষের থেকেও নীচে নামিয়েছে।”
নয়াদিল্লি: সমলিঙ্গ বিবাহে স্বীকৃতির আবেদন নাচক করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এ নিয়ে গত মাসে রায় ঘোষণা করেছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। সেই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দায়ের হল দেশের শীর্ষ আদালতে। সমলিঙ্গ বিবাহের এক আবেদনকারী উদিত সুদ এই পিটিশন জমা করেছেন। সেই পিটিশনে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ‘সেল্ফ কন্ট্রাডিক্টরি (পরস্পরবিরোধী) এবং ম্যানিফেস্টলি আনজাস্ট’ বলা অভিহিত করা হয়েছে। সেই পিটিশনে লেখা হয়েছে, “সমকামী সম্প্রদায়কে যে বৈষম্যের স্বীকার হতে হয়, সে কথা স্বীকার করা হয়েছে রায়ে। কিন্তু বৈষম্যের কারণকে দূর করা হয়নি। আইনসভা সমকামীদের সমানাধিকারকে অস্বীকার করে মানুষের থেকেও নীচে নামিয়েছে।”
সরকার যে এলজিবিটিকিউ-ভুক্ত মানুষদের ‘সমস্যা’ বলে মনে করে তাও উল্লেখিত হয়েছে পিটিশনে। এ বিষয়ে পিটিশনে লেখা হয়েছে, “বিবাহ যে বলবৎযোগ্য সামাজিক চুক্তি, সে দিকে আলোকপাতই করা হয়নি গোটা রায়ে। সম্মতি দিতে সক্ষম এ রকম সকলেরই অধিকার রয়েছে এই চুক্তিতে প্রবেশের। যে কোনও বিশ্বাসের পরিণতবয়স্ক এতে লিপ্ত হতে পারে। বিবাহের চুক্তি এক দল লোক অপরদের শেখাতে পারে না ‘বিবাহের অর্থ’ কী।”
১৭ অক্টোবর সমলিঙ্গ বিবাহে স্বীকৃতি দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে সুপ্রিম কোর্ট। এ নিয়ে আইন আনার বিষয়টি সংসদের উপর ন্যস্ত করে দেশের শীর্ষ আদালত। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কমিটি গড়তেও সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে এলজিবিটিকিউ-দের কোনও রকম বৈষম্য থেকে রক্ষা করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিবাহের স্বীকৃতি ছাড়াও কোনও সমলিঙ্গ যুগলের একত্রে থাকার অধিকার খতিয়ে দেখতে সরকারকে কমিটি গড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।