Shiv Sena: নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে দল হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা? সুপ্রিম কোর্টে কাতর আর্জি উদ্ধবদের
Shiv Sena: উদ্ধব ঠাকরে শিবির পিটিশন দাখিল করে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, ১৬ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া অবধি নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, যে শিবসেনা কর্তৃত্ব কার হাতে থাকবে।
নয়া দিল্লি: বেশ কয়েকদিনের টানাপড়েন শেষে মহারাষ্ট্র সরকারে উলট-পুরাণ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে। রাজ্যের শাসনভার হাতে নেওয়ার পর শিবসেনার রাশ হাতে চেয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছিলেন একনাথ। বালাসাহেব ঠাকরের তৈরি করা শিবসেনার নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, নির্বাচন কমিশন যেন তা নির্ধারণ করতে না পারে, সেই দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দারস্ত হয়েছে উদ্ধব শিবির। শিবসেনার পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতে এক আবেদন জানানো হয়েছে, কোর্টে চলা ১৬ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া অবধি, নির্বাচন কমিশন যেন কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পারে।
বিজেপির সমর্থন নিয়ে সরকার তৈরির পর নিজেদের ‘আসল শিবসেনা’ হিসেবে দাবি করেছে শিন্ডে শিবির। নির্বাচন কমিশন বিবাদমান দু’পক্ষকে জানিয়েছিল, ৮ অগস্টের মধ্যে যথাযথ নথিপত্র এবং লিখিত বিবৃতি কমিশনে জমা দিতে। এরপরই দলের রাশ কার হাতে থাকবে, সেই নিয়ে কমিশনে শুনানি হবে।
উদ্ধব ঠাকরে শিবির পিটিশন দাখিল করে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, ১৬ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া অবধি নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, যে শিবসেনা কর্তৃত্ব কার হাতে থাকবে। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনে চিঠি লিখে শিন্ডে শিবির জানিয়েছিল, শিবসেনার প্রতীকে নির্বাচিত ৫৫ জন বিধায়কের মধ্যে ৪০ জন, এবং ১৮ সাংসদের মধ্যে ১২ জনের সমর্থন তাদের দিকে রয়েছে। শনিবার ২ শিবিরকে নোটিস দিয়ে ৮ অগস্টের মধ্যে যাবতীয় নথি পেশের নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। যার ভিত্তিতে কমিশনে শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য বিধানসভায় বিধান পরিষদ নির্বাচনের দিন থেকে শিবসেনার ফাটল প্রকাশ্যে আসে। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল সিংহভাগ সেনা বিধায়কের। দীর্ঘ নাটক শেষে ২৯ জুন মুখ্যমন্ত্রী পর থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন উদ্ধব। ৩০ জুন রাজ্যে বিজেপি সমর্থন নিয়ে নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন একনাথ শিন্ডে। আগামী দিন দল নিয়ে দ্বন্দ্ব কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই দেখার