Xi Jinping: “রাষ্ট্রপতি মুর্মুর সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক”, অভিনন্দন জানিয়ে বিশেষ বার্তা চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিং-এর

Xi Jinping congratulates Droupadi Murmu: ভারতের পনেরোতম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁকে অভিনন্দন জানালেন শি জিনপিং। এক বছরের বেশি সময় পর ভারতের প্রতি সরাসরি বার্তা দিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট।

Xi Jinping: রাষ্ট্রপতি মুর্মুর সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক, অভিনন্দন জানিয়ে বিশেষ বার্তা চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিং-এর
ভারতের পনেরোতম রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুks অভিনন্দন জানালেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2022 | 7:13 PM

নয়া দিল্লি: সোমবার (২৫ জুলাই), ভারতের পনেরোতম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। আরও অনেক রাষ্ট্রপ্রধানের মতো, তাঁকে অভিনন্দন জানালেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-ও। চিনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের নয়া রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “ভারত ও চিন পরস্পরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশি। দুই দেশ ও দেশের জনগণের মৌলিক স্বার্থে চিন-ভারতের সুস্থ ও স্থিতিশীল সম্পর্ক প্রয়োজন।”

চিনা রাষ্ট্রপ্রধানের এই বার্তা দুই দেশের সম্পর্কের প্রেক্ষিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সরাসরি কোনও যোগাযোগ নেই শি জিনপিং-এর। এর আগে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে শেষবার সরাসরি ভারতে বার্তা পাঠিয়েছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট। সেই সময় কোভিড-১৯ মহামারির বিধ্বংসী দ্বিতীয় তরঙ্গের দাপটে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবার। ভারতকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট। তারপর থেকে আর সরাসরি ভারতের প্রতি কোনও বার্তা দেননি তিনি।

এদিন, তিনি সুস্থ ও স্থিতিশীল চিন-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর জোর দিয়েছেন। দুই দেশ ও দুই দেশের নাগরিকদের মৌলিক স্বার্থরক্ষার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও সামগ্রিক বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্যও দুই দেশের সুসম্পর্ক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি আরও দাবি করেছেন, “চিন-ভারত সম্পর্কের উপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিই আমি। পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা বৃদ্ধি করতে, ব্যবহারিক সহযোগিতার গভীরতা বাড়াতে, মতপার্থক্য দূর করতে এবং চিন-ভারত সম্পর্ককে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি মুর্মুর সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।”

ক্ষমতায় আসার পর থেকে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চিনের উহান এবং ভারতের মহাবলিপুরমে দুই নেতার মধ্যে দুটি ঘরোয়া বৈঠকও হয়েছিল। তবে সেইসবই ঘটেছিল ২০১৯ সালের আগে। ২০২০ সালের গোড়া থেকেই পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করা শুরু করেছিল চিন সেনা। এপ্রিল থেকে দুই দেশের সেনার মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায় অচলাবস্থা শুরু হয়েছিল। তারপর ৫ মে গালওয়ান উপত্যকায় দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সেই সময় থেকেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে প্রকাশ্যে কোনও যোগাযোগ হয়নি। তবে আগামী সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলন রয়েছে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানেরই সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা। শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি দুই জিনপিং-মোদী দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হতে পারে। তবে এই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত কোনও খবর নেই।