Coal Shortage: কয়লার কোনও সঙ্কট নেই, ভরসা জোগাচ্ছে কোল ইন্ডিয়া
Coal India: এই বছর অনেক বেশি পরিমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। সেই কারণেই কম পরিমাণে কয়লা মজুত রয়েছে।
রাঁচি : একাধিক রিপোর্ট বলছে, দেশে কয়লার সঙ্কট তৈরি হয়েছে। আর তার প্রভাব পড়তে চলেছে বিদ্যুৎ পরিষেবার উপর। বিদ্যৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে নাকি পর্যাপ্ত কয়লার জোগান নেই। কেন্দ্র যদিও বলছে, এমন কোনও সঙ্কট তৈরি হয়নি। কিন্তু বিরোধীরা এত সহজে ছাড়ছে না। বিরোধীদের বক্তব্য, কেন্দ্র বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে রাঁচিতে সেন্ট্রাল কোলফিল্ড লিমিটেডের বক্তব্য় কিন্তু কেন্দ্রের মন্তব্যকেই সমর্থন করছে।
সেন্ট্রাল কোলফিল্ড লিমিটেডের তরফে আজ জানানো হয়েছে, যেমন সঙ্কটের কথা বলা হচ্ছে, আসলে তেমন কিছুই নয়। কয়লার মজুত এবার কিছুটা কম রয়েছে। তবে তাতে সঙ্কটের কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এই বছর অনেক বেশি পরিমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। সেই কারণেই কম পরিমাণে কয়লা মজুত রয়েছে। এই অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত কোল ইন্ডিয়ার তরফে অন্তত ৫৩ মিলিয়ন টন কয়লা সরবরাহ করা হয়েছে। যা গতবছরের প্রথম ভাগে যে পরিমাণে কয়লা সরবরাহ করা হয়েছিল, তার থেকে অনেকটা বেশি। প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে কয়লা সরবরাহ।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গোটা পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে। ১৭ অক্টোবর থেকে আবারও এই গ্রাফ ঊর্ধ্বগামী হবে। শেষ তিন – চার দিন ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে কয়লা পাঠানো হচ্ছে। যদি ১.৬ মিলিয়ন টনের চাহিদা থাকে, তাহলে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন টনই জোগান দেওয়া হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে আগামী এক – দুই সপ্তাহের মধ্যে গোটা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
কোল ইন্ডিয়ার কাছে যা মজুত রয়েছে তা অন্তত ২০ দিন খুব ভাল ভাবে কেটে যাবে। সিসিএলে মজুত রয়েছে ১.৯৫ মিলিয়ন টন এবং বিসিসিএলে মজুত রয়েছে ৬.৫ মিলিয়ন টন।
গত কয়েকদিন ধরেই শিরোনামে কয়লা সঙ্কট। দেশ জুড়ে কয়লা উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের (Power Crisis) আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন কি কোনও কোনও রাজ্যে সেই আশঙ্কা সত্যি হয়েছে, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে একাধিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই অবস্থায় কয়লা মন্ত্রী ও বিদ্যুৎ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সাড়েন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিভিন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের (Thermal Power Plant) কমেছে কয়লার সরবরাহ। সেই পরিস্থিতি নিয়ে সোমবারের এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী, কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী আরকে সিং ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন একাধিক উচ্চপদস্থ আমলা। এনটিপিসির আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে। কেন্দ্রের তরফে অবশ্য আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। যে পরিমান কয়লা মজুত আছে তাদের দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেই জানানো হয়েছে। কিন্তু উদ্বেগ বেড়েছে বেশ কয়েকটি রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে। একাধিক জায়গায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তৈরি হয়েছে বিদ্যুৎ সঙ্কট।
আরও পড়ুন : Coal Shortage: বাড়ছে উদ্বেগ! কয়লা ও বিদ্যুৎ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন অমিত শাহ