Doctors association: ‘এটা স্টেট স্পনসর্ড ক্রাইম’, সুপ্রিম শুনানির আগে দিল্লি থেকে হুঙ্কার ডাক্তারদের

Doctors association: সুপ্রিম কোর্ট জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে বলেছিল। কিন্তু, সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দেননি। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা রয়েছে। তার আগে এদিন জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, "আমরাও দ্রুত কাজে যোগ দিতে চাই।"

Doctors association: 'এটা স্টেট স্পনসর্ড ক্রাইম', সুপ্রিম শুনানির আগে দিল্লি থেকে হুঙ্কার ডাক্তারদের
নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2024 | 4:36 PM

নয়াদিল্লি: আরজি কর কাণ্ডে চাপানউতোর ক্রমশ বাড়ছে। টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আবার ধর্ষণ ও খুনের এই মামলায় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে আরজি কর কাণ্ডে সরব হলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের চিকিৎসক ও জুনিয়র ডাক্তাররা। চিকিৎসকরা অভিযোগ করেন, “আরজি করের ঘটনা স্টেট স্পনসর্ড ক্রাইম।”

গত ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে ‘তিলোত্তমা’-র দেহ উদ্ধার হয়। তারপর থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন করছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে পৌঁছেছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। আর তার আগে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের চিকিৎসক ও জুনিয়র ডাক্তাররা।

আরজি করের ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট অপরাধ’ বলে উল্লেখ করে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সবরকম নৃশংস ঘটনার নিন্দা করছি। কিন্তু, আরজি করের ঘটনা স্টেট স্পনসর্ড ক্রাইম। হেলথ সিন্ডিকেটের ফল এটা। বর্তমান শাসকদলের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা এই সিন্ডিকেট চালান।”

এই খবরটিও পড়ুন

আবার চিকিৎসক সিদ্ধার্থ বলেন, “এটা সাধারণ ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নয়। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি হয়েছে। যার জেরে এই অপরাধ ঘটেছে। তাই, এই অপরাধ চাপা দিতে এত চেষ্টা হয়েছে। যদি এটা সাধারণ ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা হত, তাহলে তা চাপা দিতে এত চেষ্টা হত না।” কলকাতার জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিগুলিকে তাঁরা সমর্থন করেন বলে জানান চিকিৎসকরা।

নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তাররা

সুপ্রিম কোর্ট জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে বলেছিল। কিন্তু, সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দেননি। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা রয়েছে। তার আগে এদিন জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, “আমরাও দ্রুত কাজে যোগ দিতে চাই। কিন্তু, আমরা এখনও হাসপাতালে নিরাপদ মনে করছি না। শুধু সিসিটিভি লাগিয়ে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যাবে না। যারা আমাদের সহযোগীকে হত্যা করেছে, ধর্ষণ করেছে, তারা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তাই আমরা এখনও নিরাপদ বোধ করছি না।”